পরিচ্ছেদঃ
যখন শত্রুরা কিবলামুখী থাকবে তখন সালাতুল খাওফ বা ভয়-ভীতি অবস্থার সালাত পাঠের পদ্ধতি
বুলুগুল মারাম : ৪৭৭
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৪৭৭
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - صَلَاةَ الْخَوْفِ، فَصَفَّنَا صَفَّيْنِ: صَفٌّ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - وَالْعَدُوُّ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ، فَكَبَّرَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - وَكَبَّرْنَا جَمِيعًا، ثُمَّ رَكَعَ وَرَكَعْنَا جَمِيعًا، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الُّركُوعِ وَرَفَعْنَا جَمِيعًا، ثُمَّ انْحَدَرَ بِالسُّجُودِ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ، وَقَامَ الصَّفُّ الْمُؤَخَّرُ فِي نَحْرِ الْعَدُوِّ، فَلَمَّا قَضَى السُّجُودَ، قَامَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ… فَذَكَرَ الْحَدِيثَ.وَفِي رِوَايَةٍ: ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ مَعَهُ الصَّفُّ الْأَوَّلُ، فَلَمَّا قَامُوا سَجَدَ الصَّفُّ الثَّانِي، ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الْأَوَّلُ، وَتَقَدَّمَ الصَّفُّ الثَّانِي … فَذَكَرَ مِثْلَهُ.وَفِي آخِرِهِ: ثُمَّ سَلَّمَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - وَسَلَّمْنَا جَمِيعًا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে ভীতিকর অবস্থার সালাতে উপস্থিত ছিলাম। আমরা দুটি সারিতে সারিবদ্ধ হলাম, একটি সারি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পেছনে থাকলো, আর শত্রুসেনা দল আমাদের ও কিবলার মধ্যে রইলো। এ অবস্থায় নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আল্লাহু আকবার’ বললেন। আমরাও সকলেই আল্লাহু আকবার বললাম। তারপর তিনি রুকূ করলেন, আমরাও রুকূ করলাম। তারপর তিনি রুকূ থেকে মাথা উঠালেন, আমরাও একই সঙ্গে সকলেই মাথা ওঠালাম। তারপর তিনি তার নিকটতম সারিটিসহ সেজদায় অবনমিত হয়ে পড়লেন আর পেছনের সারিটি সেজদায় না গিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার জন্য দাড়িয়ে রইল। তারপর তার সেজদাহ পূর্ণ হলে তার নিকটের সারিটি দাঁড়াল। অতঃপর রাবী পূর্ণ হাদীস উল্লেখ করেন। তারপর তিনি সেজদাহ করলেন ও তার সঙ্গে প্রথম সারিও সেজদাহ করল। তারপর যখন তারা দাড়ালেন তখন দ্বিতীয় সারি সেজদাহ করল। তারপর প্রথম সারি পিছিয়ে গেল ও দ্বিতীয় সারি অগ্রসর হল- এরপর পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ এতেও বর্ণিত হয়েছে। এরই বর্ণনার শেষাংশে আছে- তারপর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সালাম ফিরালে আমরাও সকলেই সালাম ফিরালাম। [৫১৪]
[৫১৪] বুখারী ৪১৩৭, মুসলিম ৮৪০, নাসায়ী ১৫৪৫, ১৫৩৬, ১৫৪৭, ইবনু মাজাহ ১২৬০, আহমাদ ১৪৫১১, ১৪৫০১