৭৯. অনুচ্ছেদঃ
ইতিকাফ ভঙ্গ করার পর পুনরায় ইতিকাফ করা
জামে' আত-তিরমিজি : ৮০৩
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ৮০৩
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالَ أَنْبَأَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَلَمْ يَعْتَكِفْ عَامًا فَلَمَّا كَانَ فِي الْعَامِ الْمُقْبِلِ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْمُعْتَكِفِ إِذَا قَطَعَ اعْتِكَافَهُ قَبْلَ أَنْ يُتِمَّهُ عَلَى مَا نَوَى فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا نَقَضَ اعْتِكَافَهُ وَجَبَ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ . وَاحْتَجُّوا بِالْحَدِيثِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مِنِ اعْتِكَافِهِ فَاعْتَكَفَ عَشْرًا مِنْ شَوَّالٍ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنْ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ نَذْرُ اعْتِكَافٍ أَوْ شَيْءٌ أَوْجَبَهُ عَلَى نَفْسِهِ وَكَانَ مُتَطَوِّعًا فَخَرَجَ فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يَقْضِيَ إِلاَّ أَنْ يُحِبَّ ذَلِكَ اخْتِيَارًا مِنْهُ وَلاَ يَجِبُ ذَلِكَ عَلَيْهِ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . قَالَ الشَّافِعِيُّ فَكُلُّ عَمَلٍ لَكَ أَنْ لاَ تَدْخُلَ فِيهِ فَإِذَا دَخَلْتَ فِيهِ فَخَرَجْتَ مِنْهُ فَلَيْسَ عَلَيْكَ أَنْ تَقْضِيَ إِلاَّ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রমযানের শেষ দশদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইতিকাফ করতেন। কিন্তু তিনি এক বছর ইতিকাফ করতে সক্ষম হননি। তাই তিনি পরের বছর বিশ দিন ইতিকাফ করেন। -সহীহ, সহীহ আবূ দাঊদ (২১২৬)
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা আনাস ইবনু মালিকের হাদীস হিসেবে হাসান গারীব সহীহ্ বলেছেন। আলিমগণের মধ্যে নিয়্যাত করার পর পূর্ণ করার আগেই ইতিকাফ ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মতভেদ রয়েছে। একদল আলিম তার কাযা আদায় করাকে ওয়াজিব বলেছেন। নিম্নোক্ত হাদীসটি দ্বারা তারা দলীল গ্রহণ করেনঃ “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইতিকাফ ত্যাগ করে বেরিয়ে আসলেন, পরে শাওয়াল মাসের দশদিন ইতিকাফ করেন।" এরকম মত ইমাম মালিক (রহঃ)-এরও। অন্য একদল আলিম বলেন, মানত বা নিজেদের জন্য অবশ্য পালনীয় ইতিকাফ যদি না হয়ে থাকে এবং যদি নফল ইতিকাফ হয়ে থাকে তাহলে এমতাবস্থায় ইতিকাফ ছেড়ে বের হয়ে গেলে তার কাযা আদায় করা ওয়াজিব নয়। যদি কেউ স্বেচ্ছায় কাযা করে তবে তা করতে পারে কিন্তু তা তার উপর ওয়াজিব নয়। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) এই মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, তোমার জন্য যেসব আমল ছেড়ে দেয়া জায়িয তুমি যদি এ ধরণের কোন আমল করতে শুরু কর এবং তা পূর্ণ না করে ছেড়ে দাও তাহলে তোমার উপর এ ধরণের কোন আমল কাযা করা ওয়াজিব নয় শুধুমাত্র হাজ্জ ও উমরা ব্যতীত। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।