১. অনুচ্ছেদঃ
যে লোকের উপর হাদ্দ বাধ্যকর হয় না
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطَعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَشِبَّ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يَعْقِلَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ " وَعَنِ الْغُلاَمِ حَتَّى يَحْتَلِمَ " . وَلاَ نَعْرِفُ لِلْحَسَنِ سَمَاعًا عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَرَوَاهُ الأَعْمَشُ عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفًا وَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى قَدْ كَانَ الْحَسَنُ فِي زَمَانِ عَلِيٍّ وَقَدْ أَدْرَكَهُ وَلَكِنَّا لاَ نَعْرِفُ لَهُ سَمَاعًا مِنْهُ وَأَبُو ظَبْيَانَ اسْمُهُ حُصَيْنُ بْنُ جُنْدَبٍ .
আলী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তিন প্রকার লোক হতে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে (শাস্তি থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে) ঘুমিয়ে থাকা লোক জাগ্রত না হওয়া পর্যন্ত; শিশু বয়োপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং নিষ্ক্রিয়বুদ্ধিসম্পন্ন লোকের জ্ঞান না আসা পর্যন্ত।সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (২০৪১, ২০৪২)
আইশা (রাঃ) –এর নিকট হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা উল্লেখিত সনদ সূত্রে হাসান গারীব বলেছেন। আলী (রাঃ) হতে আরো একাধিক সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত আছে। কোন কোন বর্ণনায় আছেঃ “ওয়া আনিল গুলামি হাত্তা ইয়াহতালিমা” (বালক প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত)। আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) –এর নিকট হতে হাসান বাসরী (রহঃ) সরাসরি হাদীস শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই।এ হাদীস আতা ইবনু সাইব-আবূ যাবিয়ান হতে, তিনি আলী (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ সূত্রেও বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি আমাশ-আবূ যাবিয়ান হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে, তিনি আলী (রাঃ) -এর সূত্রে মাওকূফরূপে বর্ণনা করেছেন, মারফূভাবে বর্ণনা করেননি। এ হাদীস মোতাবিক অভিজ্ঞ আলিমগণ আমল করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, হাসান বাসরী (রহঃ) আলী (রাঃ) -কে জীবদ্দশায় পেয়েছেন কিন্তু তার কাছে কোন কিছু শুনতে পেয়েছেন বলে আমাদের জানা নেই। আবূ যাবিয়ানের নাম হলো হুসাইন, বাবার নাম জুনদাব।
২. অনুচ্ছেদঃ