১. অনুচ্ছেদঃ
তিনের-একাংশ সম্পত্তিতে ওয়াসিয়াত সীমাবদ্ধ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَرِضْتُ عَامَ الْفَتْحِ مَرَضًا أَشْفَيْتُ مِنْهُ عَلَى الْمَوْتِ فَأَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مَالاً كَثِيرًا وَلَيْسَ يَرِثُنِي إِلاَّ ابْنَتِي أَفَأُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ قَالَ " لاَ " . قُلْتُ فَثُلُثَىْ مَالِي قَالَ " لاَ " . قُلْتُ فَالشَّطْرُ قَالَ " لاَ " . قُلْتُ فَالثُّلُثُ قَالَ " الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّكَ إِنْ تَدَعْ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً إِلاَّ أُجِرْتَ فِيهَا حَتَّى اللُّقْمَةَ تَرْفَعُهَا إِلَى فِي امْرَأَتِكَ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُخَلَّفُ عَنْ هِجْرَتِي قَالَ " إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ بَعْدِي فَتَعْمَلَ عَمَلاً تُرِيدُ بِهِ وَجْهَ اللَّهِ إِلاَّ ازْدَدْتَ بِهِ رِفْعَةً وَدَرَجَةً وَلَعَلَّكَ أَنْ تُخَلَّفَ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ اللَّهُمَّ أَمْضِ لأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ وَلاَ تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ لَكِنِ الْبَائِسُ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ لَيْسَ لِلرَّجُلِ أَنْ يُوصِيَ بِأَكْثَرَ مِنَ الثُّلُثِ وَقَدِ اسْتَحَبَّ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يَنْقُصَ مِنَ الثُّلُثِ لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ " .
আমির ইবনু সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে তার বাবার সূত্রে হতে বর্ণিতঃ
তিনি (সা’দ) বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর আমি গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে গেলাম এবং মৃত্যুর আশংকা করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখতে এলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার প্রচুর ধন-সম্পদ রয়েছে। মাত্র একটি মেয়ে সন্তান ব্যতীত আমার আর কোন উত্তরাধিকারী নেই। আমি আমার সমস্ত সম্পদের ওয়াসিয়াত করবো কি? তিনি বললেনঃ না। আমি বললাম, তবে দুই-তৃতীয়াংশ সম্পদ ওয়াসিয়াত করব কি? তিনি বললেনঃ না। আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক? তিনি বললেনঃ না। আমি বললাম, তাহলে এক-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ এক তৃতীয়াংশ করতে পার, তবে এক-তৃতীয়াংশও অনেক। তোমার উত্তরাধিকারীদেরকে দরিদ্র এবং অন্যকারো নিকট হাত পতাতে বাধ্য অবস্থায় রেখে যাওয়ার চাইতে তাদেরকে সম্পদশালী অবস্থায় রেখে যাওয়া অধিক উত্তম। তুমি যেটুকু খরচ কর না কেন নেকী অবশ্যই পাবে। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে গ্রাসটি তুলে দাও তুমি তার জন্যও নেকী পাবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! আমি কি আমার হিজরাত হতে পিছনে পড়ে থাকব (মাদীনায় ফিরে যেতে পারব না)? তিনি বললেনঃ তুমি আমার পরেও যদি জীবিত থাক এবং আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টি হাসিলের উদ্দেশ্যে যে কোন কাজই কর তাতে তোমার মর্যাদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। আশা করি আমার পরবর্তীতেও তুমি জীবিত থাকবে। তোমার মাধ্যমে বহু লোকের উপকার হবে এবং অসংখ্য লোকের ক্ষতি সাধিত হবে। হে আল্লাহ! আমার সাহাবীদের হিজরাত পূর্ণ করে দাও, তাদেরকে পিছনে ফিরিয়ে দিও না। সা’দ ইবনু খাওলা হতভাগ্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সা’দ ইবনু খাওলার জন্য অনেক দুঃখ প্রকাশ করতেন। তিনি মক্কাতে মারা যান।সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৭০৮), বুখারী, মুসলিম।
আবু ঈসা বলেন, ইবনু আব্বাস রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। এ হাদীসটি সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) হতেও একধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীস মুতাবিক অভিজ্ঞ আলিমগণ আমল কারেছেন। কারো পক্ষে তার সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের বেশি ওয়াসিয়াত করা উচিত নয়। ‘তিনের-একাংশও বেশী’ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এক-তৃতীয়াংশের কম পরিমাণ ওয়াসিয়াত করাকেই একদল বিশেষজ্ঞ আলিম উত্তম বলেছেন।
২. অনুচ্ছেদঃ