১০. অনুচ্ছেদঃ
বিতর নামাযে দু’আ কুনূত পাঠ করা
জামে' আত-তিরমিজি : ৪৬৪
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ৪৬৪
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ، قَالَ قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ رضى الله عَنْهُمَا عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي الْوِتْرِ " اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ وَاسْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ . وَلاَ نَعْرِفُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ هَذَا . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ فَرَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ الْقُنُوتَ فِي الْوِتْرِ فِي السَّنَةِ كُلِّهَا وَاخْتَارَ الْقُنُوتَ قَبْلَ الرُّكُوعِ . وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَإِسْحَاقُ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ كَانَ لاَ يَقْنُتُ إِلاَّ فِي النِّصْفِ الآخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَكَانَ يَقْنُتُ بَعْدَ الرُّكُوعِ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ .
আবুল হাওরা (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাসান ইবনু ‘আলী (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে কয়েকটি বাক্য শিখিয়ে দিয়েছেন। এগুলো আমি বিতরের নামাযে পাঠ করে থাকিঃ “হে আল্লাহ! যাদেরকে তুমি হিদায়াত করেছো আমাকেও তাদের সাথে হিদায়াত কর, যাদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছ তুমি তাদের সাথে আমার প্রতিও উদারতা দেখাও। তুমি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ তাদের সাথে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ কর। তুমি আমাকে যা দান করেছ তার মধ্যে বারকাত দাও। তোমার নির্ধারিত খারাবি হতে আমাকে রক্ষা কর। কেননা তুমিই নির্দেশ দিতে পার, তোমার উপর কারো নির্দেশ চলে না। যাকে তুমি বন্ধু ভেবেছ সে কখনও অপমানিত হয় না। তুমি কল্যাণময়, তুমি সুউচ্চ”। সহীহ্। ইরওয়া- (৪২৯), মিশকাত- (১২৭৩), তা’লীক আলা-ইবনু খুজাইমাহ- (১০৯৫), সহীহ্ আবূ দাঊদ- (১২৮১)।
এ অনুচ্ছেদে ‘আলী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এটি হাসান হাদীস। আবুল হাওরার সূত্র ব্যতীত অপর কোন সূত্রে আমরা এ হাদীসটি জানতে পারিনি। আবুল হাওরার নাম বারী’আহ্ ইবনু শাইবান। বিতরে দু’আ কুনূতের ব্যাপারে উল্লেখিত হাদীসের চেয়ে বেশি ভাল হাদীস আমাদের জানা নেই। বিতরের কুনূতের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেছেন, সারা বছর (প্রতি রাতে) বিতরের নামাযে কুনূত পাঠ করতে হবে। তিনি রুকূ করার পূর্বে কুনূত পাঠ করা পছন্দ করেছেন। কিছু বিশেষজ্ঞের এটাই মত। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারক, ইসহাক এবং কুফাবাসীগণও একইরকম মত দিয়েছেন। ‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, ‘তিনি কেবল রামাযান মাসের দ্বিতীয়ার্ধেই রুকূ করার পর কুনূত পাঠ করতেন, অন্য সময়ে কুনূত পাঠ করতেন না।’ কিছু বিশেষজ্ঞ এ মত দিয়েছেন। ইমাম শাফিঈ এবং আহমাদও এ কথাই বলেছেন।