১৭৪. অনুচ্ছেদঃ

অধিক পরিমাণে রুকু-সাজদাহ্‌ করার (নামায আদায় করা) ফাযিলাত

জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ৩৮৯

قَالَ مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ فَلَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَسَأَلْتُهُ عَمَّا سَأَلْتُ عَنْهُ ثَوْبَانَ فَقَالَ عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ وَيُقَالُ ابْنُ أَبِي طَلْحَةَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ وَأَبِي فَاطِمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ثَوْبَانَ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ فِي كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا الْبَابِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ طُولُ الْقِيامِ فِي الصَّلاَةِ أَفْضَلُ مِنْ كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ كَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ أَفْضَلُ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا حَدِيثَانِ وَلَمْ يَقْضِ فِيهِ بِشَيْءٍ ‏.‏ وَقَالَ إِسْحَاقُ أَمَّا فِي النَّهَارِ فَكَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَأَمَّا بِاللَّيْلِ فَطُولُ الْقِيَامِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَجُلٌ لَهُ جُزْءٌ بِاللَّيْلِ يَأْتِي عَلَيْهِ فَكَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ فِي هَذَا أَحَبُّ إِلَىَّ لأَنَّهُ يَأْتِي عَلَى جُزْئِهِ وَقَدْ رَبِحَ كَثْرَةَ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا قَالَ إِسْحَاقُ هَذَا لأَنَّهُ كَذَا وُصِفَ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ وَوُصِفَ طُولُ الْقِيَامِ وَأَمَّا بِالنَّهَارِ فَلَمْ يُوصَفْ مِنْ صَلاَتِهِ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ مَا وُصِفَ بِاللَّيْلِ ‏.‏

মা’দান হতে বর্ণিতঃ

অতঃপর আমি আবূ দারদা (রাঃ)-এর সাথে দেখা করে তাঁকেও সাওবানের নিকট যে প্রশ্ন করেছিলাম তাই করলাম। তিনি বললেন, তুমি অবশ্যই সাজদাহ্‌ করতে থাক। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ যে কোন ব্যক্তিই আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাঁকে একটি সাজদাহ্‌ করে, আল্লাহ তা’আলা তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন।সহীহ্‌। দেখুন পূর্বের হাদীস।

মা’দান ইবনু ইয়া’মারীকে ইবনু আবী তালহাও বলা হয়।এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরায়রা, আবূ উমামা ও আবূ ফাতিমা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ অধিক রুকু সাজদাহ্‌ সম্পর্কিত সাওবান ও আবূ দারদা (রাঃ)-এর হাদীস দুটো হাসান সহীহ্‌। হাদীসে বর্ণিত বিষয়ে বিদ্বানগণের মতের অমিল রয়েছে।একদল আলিম বলেছেন, নামাযে দীর্ঘ কিয়াম করা বেশি রুকু সাজদাহ্‌ করা হতেও উত্তম। অপর দল বলেছেন, দীর্ঘ কিয়ামের তুলনায় বেশি রুকু-সাজদাহ্‌ করা উত্তম। ইমাম আহমাদ বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস দুটি হতে উভয় মতেরই সমর্থন পাওয়া যায়, তাতে কোন সমাধান নাই। ইসহাক বলেন, দিনের বেলা বেশি রুকু-সাজদাহ্‌ এবং রাতের বেলা দীর্ঘ কিয়াম করা উত্তম। হ্যাঁ যদি কোন ব্যক্তি রাতের কিয়ামের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে নেয় তবে বেশি রুকূ সাজদাহ্‌ করাই উত্তম। কেননা সে তার নির্দিষ্ট সময়ও পূর্ণ করবে আর বেশি রুকূ সাজদাহ্‌’রও সাওয়াব পাবে এবং কল্যানের মধ্যে থাকবে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ইমাম ইসহাকের এ মতের সমর্থনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আমল বিদ্যমান রয়েছে। তিনি রাতে দীর্ঘ কিয়াম করতেন এবং দিনে বেশি রুকু-সাজদাহ্‌ করতেন (অনেক রাক’আত নামায আদায় করতেন)। তিনি দিনের নামাযে রাতের নামাযের মতো দীর্ঘ কিয়াম করতেন না।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন