অনুচ্ছেদ-৩০
রাতে নামায শেষে পাঠ করার দু'আ
জামে' আত-তিরমিজি : ৩৪১৯
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ৩৪১৯
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي لَيْلَى، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَلِيٍّ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَيْلَةً حِينَ فَرَغَ مِنْ صَلاَتِهِ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ رَحْمَةً مِنْ عِنْدِكَ تَهْدِي بِهَا قَلْبِي وَتَجْمَعُ بِهَا أَمْرِي وَتَلُمُّ بِهَا شَعَثِي وَتُصْلِحُ بِهَا غَائِبِي وَتَرْفَعُ بِهَا شَاهِدِي وَتُزَكِّي بِهَا عَمَلِي وَتُلْهِمُنِي بِهَا رَشَدِي وَتَرُدُّ بِهَا أُلْفَتِي وَتَعْصِمُنِي بِهَا مِنْ كُلِّ سُوءٍ اللَّهُمَّ أَعْطِنِي إِيمَانًا وَيَقِينًا لَيْسَ بَعْدَهُ كُفْرٌ وَرَحْمَةً أَنَالُ بِهَا شَرَفَ كَرَامَتِكَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْفَوْزَ فِي الْعَطَاءِ وَيُرْوَى فِي الْقَضَاءِ وَنُزُلَ الشُّهَدَاءِ وَعَيْشَ السُّعَدَاءِ وَالنَّصْرَ عَلَى الأَعْدَاءِ اللَّهُمَّ إِنِّي أُنْزِلُ بِكَ حَاجَتِي وَإِنْ قَصَّرَ رَأْيِي وَضَعُفَ عَمَلِي افْتَقَرْتُ إِلَى رَحْمَتِكَ فَأَسْأَلُكَ يَا قَاضِيَ الأُمُورِ وَيَا شَافِيَ الصُّدُورِ كَمَا تُجِيرُ بَيْنَ الْبُحُورِ أَنْ تُجِيرَنِي مِنْ عَذَابِ السَّعِيرِ وَمِنْ دَعْوَةِ الثُّبُورِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْقُبُورِ اللَّهُمَّ مَا قَصَّرَ عَنْهُ رَأْيِي وَلَمْ تَبْلُغْهُ نِيَّتِي وَلَمْ تَبْلُغْهُ مَسْأَلَتِي مِنْ خَيْرٍ وَعَدْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ أَوْ خَيْرٍ أَنْتَ مُعْطِيهِ أَحَدًا مِنْ عِبَادِكَ فَإِنِّي أَرْغَبُ إِلَيْكَ فِيهِ وَأَسْأَلُكَهُ بِرَحْمَتِكَ رَبَّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ ذَا الْحَبْلِ الشَّدِيدِ وَالأَمْرِ الرَّشِيدِ أَسْأَلُكَ الأَمْنَ يَوْمَ الْوَعِيدِ وَالْجَنَّةَ يَوْمَ الْخُلُودِ مَعَ الْمُقَرَّبِينَ الشُّهُودِ الرُّكَّعِ السُّجُودِ الْمُوفِينَ بِالْعُهُودِ إِنَّكَ رَحِيمٌ وَدُودٌ وَأَنْتَ تَفْعَلُ مَا تُرِيدُ اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا هَادِينَ مُهْتَدِينَ غَيْرَ ضَالِّينَ وَلاَ مُضِلِّينَ سِلْمًا لأَوْلِيَائِكَ وَعَدُوًّا لأَعْدَائِكَ نُحِبُّ بِحُبِّكَ مَنْ أَحَبَّكَ وَنُعَادِي بِعَدَاوَتِكَ مَنْ خَالَفَكَ اللَّهُمَّ هَذَا الدُّعَاءُ وَعَلَيْكَ الاِسْتِجَابَةُ وَهَذَا الْجَهْدُ وَعَلَيْكَ التُّكْلاَنُ اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي نُورًا فِي قَبْرِي وَنُورًا فِي قَلْبِي وَنُورًا مِنْ بَيْنِ يَدَىَّ وَنُورًا مِنْ خَلْفِي وَنُورًا عَنْ يَمِينِي وَنُورًا عَنْ شِمَالِي وَنُورًا مِنْ فَوْقِي وَنُورًا مِنْ تَحْتِي وَنُورًا فِي سَمْعِي وَنُورًا فِي بَصَرِي وَنُورًا فِي شَعْرِي وَنُورًا فِي بَشَرِي وَنُورًا فِي لَحْمِي وَنُورًا فِي دَمِي وَنُورًا فِي عِظَامِي اللَّهُمَّ أَعْظِمْ لِي نُورًا وَأَعْطِنِي نُورًا وَاجْعَلْ لِي نُورًا سُبْحَانَ الَّذِي تَعَطَّفَ الْعِزَّ وَقَالَ بِهِ سُبْحَانَ الَّذِي لَبِسَ الْمَجْدَ وَتَكَرَّمَ بِهِ سُبْحَانَ الَّذِي لاَ يَنْبَغِي التَّسْبِيحُ إِلاَّ لَهُ سُبْحَانَ ذِي الْفَضْلِ وَالنِّعَمِ سُبْحَانَ ذِي الْمَجْدِ وَالْكَرَمِ سُبْحَانَ ذِي الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ وَلَمْ يَذْكُرْهُ بِطُولِهِ .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে রাতে (তাহাজ্জুদের) নামায শেষে বলতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হতে রাহমাত ও দয়া আশা করি, এর দ্বারা তুমি আমার মনকে হিদায়াত দান কর, আমার সকল কাজ গুছিয়ে দাও, আমার অগোছাল অবস্থাকে সুশৃঙ্খল করে দাও, আমার অজানা কাজকে সংশোধন করে দাও, আমার উপস্থিতিকে উন্নত কর, আমার কাজকর্ম পরিচ্ছন্ন করে দাও, সরল-সঠিক পথ আমাকে শিখিয়ে দাও, তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাকে বাড়িয়ে দাও এবং প্রত্যেক প্রকারের খারাপ হতে আমাকে নির্বিঘ্ন রাখ। হে আল্লাহ! আমাকে ঈমান ও দৃঢ় প্রত্যয় দান কর, যার পরে আর যেন কুফরী অবশিষ্ট না থাকে। আর তুমি আমাকে রাহমাত দান কর যার দ্বারা দুনিয়া ও আখিরাতে আমি তোমার মহান করুণার অধিকারী হতে পারি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দানের ব্যাপারে সাফল্য চাই, আরো আশা করি শহীদদের মত আতিথেয়তা, সৌভাগ্যবানদের জীবন এবং শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য। হে আল্লাহ! আমি আমার প্রয়োজন তোমার নিকটেই পেশ করলাম। আমার বুদ্ধিমত্তা অক্ষম ও ত্রুটিপূর্ণ এবং আমার কর্মতৎপরতা দুর্বল হওয়ায় আমি তোমার অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী। অতএব আমি তোমার নিকটে আশা করি, হে সকল কাজকর্ম ফায়সালাকারী, বক্ষসমূহের আরোগ্যকারী! আমাকে জাহান্নামের শাস্তি হতে এমনভাবে দূরে সরিয়ে রাখ যেমন তুমি দুই সমুদ্রের মিলনকে প্রতিরোধ করে রাখ। তুমি আমাকে ধ্বংসকারী আহ্বান হতে ও কবরের সংকট হতে বিপদমুক্ত রাখ। হে আল্লাহ! আমার ধারণায় যে কল্যাণের কথা আসেনি, আমার ইচ্ছায় ও প্রার্থনা যে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি, যে কল্যাণ তুমি তোমার কোন সৃষ্টিকে দান করার শপথ করেছ অথবা তোমার কোন বান্দাকে যে কল্যাণ তুমি দান করবে, হে বিশ্বের রক্ষণাবেক্ষণকারী! তোমার দয়ার উসীলায় আমি সেই কল্যাণ আশা করি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট মহাভীতির (কিয়ামতের) দিন নিরাপত্তা আশা করি এবং রুকূ-সিজদাকারী, তোমার নৈকট্য লাভকারী ও তোমার সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণকারী বান্দাদের সাথে চিরস্থায়ী জান্নাতে যাওয়ার ইচ্ছা করি। নিশ্চয় তুমি অধিক দয়ালু ও অনুগ্রহপরায়ণ বন্ধু। তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পার। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে হিদায়াতকারীদের ও হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত কর, যারা বিপথগামীও নয় এবং বিপথগামীকারীও নয়, যারা তোমার প্রিয় বান্দাদের সাথে শান্তি স্থাপনকারী এবং তোমার শত্রুদের সাথে শত্রুতা পোষণকারী। যে তোমায় ভালোবাসে আমরা তোমার মুহাব্বাতে তাকে ভালোবাসি এবং শত্রুতা বশতঃ যে তোমার বিরোধিতা করে, আমরা তার সাথে শত্রুতা রাখি। হে আল্লাহ! এই আমার আরযি এবং এটা ক্ববূল করা তোমার ইচ্ছাধীন। এই আমার প্রচেষ্টা এবং তোমার উপরই আমার আস্থা। হে আল্লাহ! তুমি আমার অন্তরে একটি নূর ঢেলে দাও। আমার কবরে নূর দাও, আমার সম্মুখে নূর, আমার পেছনে নূর, আমার ডানে নূর, আমার বামে নূর, আমার উপরে নূর, আমার নীচে নূর, আমার কানে নূর, আমার চোখে (দৃষ্টিশক্তিতে) নূর, আমার পশমে নূর, আমার চামড়ায় নূর, আমার গোশতে নূর, আমার রক্তে নূর এবং আমার হাড়ে নূর দান কর। হে আল্লাহ! আমার নূরকে বৃদ্ধি কর, আমাকে নূর দান কর এবং আমার জন্য স্থায়ী নূরের ব্যবস্থা কর। তিনিই (আল্লাহ) পবিত্র যিনি সম্মান ও মহত্বের চাদরে আবৃত এবং নিজের জন্য তাকে বিশিষ্ট করে নিয়েছেন। তিনি পবিত্র, যিনি সম্মানের পোশাক পরিহিত এবং মর্যাদার দ্বারা সম্মানিত হয়েছেন। তিনিই পবিত্র, যিনি সমস্ত দানের ও নিয়ামাতের অধিকারী, যিনি সুমহান ও মর্যাদাবান। পবিত্র তিনি যিনি মহিমাময় ও মহাবুভব”। সনদ দুর্বল, আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। ইবনু আবূ লাইলার রিওয়ায়াত হিসেবে আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীস এরকম জেনেছি। শুবা ও সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) সালামা ইবনু কুহাইল হতে, তিনি কুরাইব হতে, তিনি ইবনু আব্বাস হতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উক্ত হাদীসের অংশবিশেষ বর্ণনা করেছেন এবং এত দীর্ঘাকারে বর্ণনা করেননি।