অনুচ্ছেদ-৫০
সূরা আল-হুজুরাত
জামে' আত-তিরমিজি : ৩২৬৬
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ৩২৬৬
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُؤَمِّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ بْنِ جَمِيلٍ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، قَدِمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَعْمِلْهُ عَلَى قَوْمِهِ . فَقَالَ عُمَرُ لاَ تَسْتَعْمِلْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَتَكَلَّمَا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِعُمَرَ مَا أَرَدْتَ إِلاَّ خِلاَفِي . فَقَالَ عُمَرُ مَا أَرَدْتُ خِلاَفَكَ قَالَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : ( يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ ) فَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بَعْدَ ذَلِكَ إِذَا تَكَلَّمَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يُسْمِعْ كَلاَمَهُ حَتَّى يَسْتَفْهِمَهُ . قَالَ وَمَا ذَكَرَ ابْنُ الزُّبَيْرِ جَدَّهُ يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ مُرْسَلٌ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ .
আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আল-আক্বরা ইবনু হাবিস রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এলে আবূ বাকর (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাঁকে তার গোত্রের কর্মকর্তা নিয়োগ করুন। ‘উমার (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাকে কর্মচারীর পদে নিয়োগ করবেন না। তারা পরস্পরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মুখে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হন এবং তাদের কন্ঠস্বর চরমে পৌঁছে। আবূ বাকর (রাঃ) ‘উমার (রাঃ)–কে বললেন, আমার বিরোধিতা করাই আপনার একমাত্র লক্ষ্য। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আমার লক্ষ্য আপনার বিরোধিতা করা নয়। বর্ণনাকারী বলেন, এ আয়াতটি তখন অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “হে ঈমানদারগণ! নাবীর কণ্ঠস্বরের উপর তোমরা নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না” –(সূরা হুজুরাত ২)। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর হতে ‘উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে কথা বললে তার কথা শুনা যেত না, এমনকি তা বুঝার জন্য আবার ব্যাখ্যা চাওয়ার প্রয়োজন হত।সহীহঃ বুখারী (হাঃ ৪৮৪৫, ৪৮৪৭)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, ইবনুয যুবাইর তার নানা আবু বাকর (রাযি)-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসটি কিছু বর্ণনাকারী ইবনু আ’বী মুলাইকাহর সূত্রে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ০-এর উল্লেখ করেননি ।