অনুচ্ছেদ-৪১
সূরা আয্-যুমার
জামে' আত-তিরমিজি : ৩২৪৫
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ৩২৪৫
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ يَهُودِيٌّ بِسُوقِ الْمَدِينَةِ لاَ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَى الْبَشَرِ . قَالَ فَرَفَعَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَدَهُ فَصَكَّ بِهَا وَجْهَهُ قَالَ تَقُولُ هَذَا وَفِينَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ( ونُفِخَ فِي الصُّورِ فَصَعِقَ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ إِلاَّ مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ نُفِخَ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ ) فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ رَفَعَ رَأْسَهُ فَإِذَا مُوسَى آخِذٌ بِقَائِمَةٍ مِنْ قَوَائِمِ الْعَرْشِ فَلاَ أَدْرِي أَرَفَعَ رَأْسَهُ قَبْلِي أَوْ كَانَ مِمَّنِ اسْتَثْنَى اللَّهُ وَمَنْ قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى فَقَدْ كَذَبَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ইয়াহুদী মাদীনার বাজারে উচ্চৈঃস্বরে বললঃ না! সেই সৃষ্টিকর্তার শপথ, যিনি মুসাকে মানবজাতির উপর মর্যাদা দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এক আনসার লোক এ কথা শুনার সাথে সাথে হাত তুলে ইয়াহুদীর মুখে থাপ্পর মেরে দেয়। সে বলল, তুমি এ কথা বলছ, অথচ আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মধ্যে বর্তমান আছেন? (উভয়ে মহানবীর নিকট উপস্থিত হলে) রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “আর শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে। তখন আসমান-জমীনের সকলে মূর্ছিত হয়ে পরবে, আল্লাহ তা’আলা যাকে জ্যান্ত রাখতে চান সে ছাড়া। তারপর আবার শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে। সহসা তারা দন্ডায়মান হয়ে তাকাতে থাকবে” (সূরা যুমার ৬৮)। আমিই সবার আগে মাথা তুলে দেখতে পাবো যে, মুসা (আঃ) আরশের পায়াসমুহের একটি ধরে আছেন। আমি জানি না, তিনি কি আমার আগে মাথা তুলেছেন, না তিনি ঐ সব লোকের দলে যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা (জ্ঞানশূন্য হওয়া হতে) মুক্ত রেখেছেন। যে লোক বলে যে, আমি ইউনুস ইবনু মাত্তা (আঃ) এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ সে মিথ্যা বলে। হাসান সহীহঃ তাখরীজুত তাহবিয়াহ (১৬২), বুখারী অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
আবু ‘ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব ।