৪৮. অনুচ্ছেদঃ
ক্রোধ সংবরণকারীর মর্যাদা
জামে' আত-তিরমিজি : ২৪৯৬
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ২৪৯৬
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَسْبَاطِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيِّ، عَنْ سَعْدٍ، مَوْلَى طَلْحَةَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُحَدِّثُ حَدِيثًا لَوْ لَمْ أَسْمَعْهُ إِلاَّ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ مَرَّاتٍ وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " كَانَ الْكِفْلُ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ لاَ يَتَوَرَّعُ مِنْ ذَنْبٍ عَمِلَهُ فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَأَعْطَاهَا سِتِّينَ دِينَارًا عَلَى أَنْ يَطَأَهَا فَلَمَّا قَعَدَ مِنْهَا مَقْعَدَ الرَّجُلِ مِنِ امْرَأَتِهِ أُرْعِدَتْ وَبَكَتْ فَقَالَ مَا يُبْكِيكِ أَأَكْرَهْتُكِ قَالَتْ لاَ وَلَكِنَّهُ عَمَلٌ مَا عَمِلْتُهُ قَطُّ وَمَا حَمَلَنِي عَلَيْهِ إِلاَّ الْحَاجَةُ فَقَالَ تَفْعَلِينَ أَنْتِ هَذَا وَمَا فَعَلْتِهِ اذْهَبِي فَهِيَ لَكِ . وَقَالَ لاَ وَاللَّهِ لاَ أَعْصِي اللَّهَ بَعْدَهَا أَبَدًا . فَمَاتَ مِنْ لَيْلَتِهِ فَأَصْبَحَ مَكْتُوبًا عَلَى بَابِهِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ غَفَرَ لِلْكِفْلِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . قَدْ رَوَاهُ شَيْبَانُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الأَعْمَشِ نَحْوَ هَذَا وَرَفَعُوهُ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ فَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَرَوَى أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الأَعْمَشِ فَأَخْطَأَ فِيهِ وَقَالَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَهُوَ غَيْرُ مَحْفُوظٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيُّ هُوَ كُوفِيٌّ وَكَانَتْ جَدَّتُهُ سُرِّيَّةً لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَرَوَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيِّ عُبَيْدَةُ الضَّبِّيُّ وَالْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْعِلْمِ .
ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটি হাদিস বর্ণনা করতে শুনেছি। আমি সে হাদীসটি তাঁকে একবার, দু’বার, এমনকি সাতবারের বেশী বর্ণনা করতে শুনেছি। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ বনী ইসরাঈলের মধ্যে ‘কিফ্ল’ নামক জনৈক ব্যক্তি কোন গুনাহ হতে বিরত থাকত না। কোন এক সময় জনৈকা মহিলা (দারিদ্র্যক্লিষ্ট হয়ে) তার নিকটে আসলো। সে তাকে যেনা করার শর্তে ষাট দীনার দিল। স্বামী যেমন স্ত্রীর উপর উঠে সে যখন তেমনই উঠল তখন মহিলা কাঁপতে লাগল এবং কেঁদে ফেলল। সে প্রশ্ন করল, তুমি কাঁদছ কেন? আমি কি তোমার উপর জোরযবরদস্তি করছি? মহিলা বলল, না; কিন্তু এ গুনাহর কাজটি আমি কখনো করিনি। প্রয়োজন ও অভাব আজ আমাকে এ কাজ করতে বাধ্য করেছে। সে বলল, অভাবে পড়েই তুমি এসেছ এবং কখনও তা করনি? তুমি চলে যাও এবং যা দিয়েছি এগুলো তোমার। সে বলল, আল্লাহ্ তা’আলার কসম ! এরপর হতে আমি আর কখনো আল্লাহ্ তা’আলার নাফারমানী করব না। ঐ রাতেই সে মারা গেল সকাল হলে দেখা গেল তার বাড়ীর দরজায় লেখা রয়েছেঃ “আল্লাহ্ তা’আলা কিফ্লকে মাফ করে দিয়েছেন”।যঈফ, যঈফা (৪০৮৩)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান। শাইবান ও অন্যান্য রাবী এটিকে আ’মাশের সূত্রে মারফূ হাদিস হিসাবে এ রকমই বর্ণনা করেছেন। কোন কোন রাবী এ হাদিস আ’মাশের সূত্রে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু মারফূ হিসাবে নয়। আবূ বাক্র ইবনু আইয়্যাশ এ হাদিস আ’মাশের সূত্রে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু সনদ বর্ণনায় ভুল করেছেন এবং বলেছেনঃ আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ-সাঈদ ইবনু জুবাইর হতে তিনি ইবনু উমার (রাঃ) হতে। এটি সুরক্ষিত সনদ নয়। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ আর-রাযী কূফার অধিবাসী এবং তার দাদী ছিলেন আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)-এর দাসী। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ আর-রাযীর বরাতে উবাইদা আয-যাব্বী, হাজ্জাজ ইবনু আরতাত ও অপরাপর বিদ্বানগণ হাদিস বর্ণনা করেছেন।