৬২. অনুচ্ছেদঃ
কে ইমাম হওয়ার যোগ্য
জামে' আত-তিরমিজি : ২৩৫
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ২৩৫
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ وَحَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ الزُّبَيْدِيِّ، عَنْ أَوْسِ بْنِ ضَمْعَجٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَأَكْبَرُهُمْ سِنًّا وَلاَ يُؤَمُّ الرَّجُلُ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ يُجْلَسُ عَلَى تَكْرِمَتِهِ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ " . قَالَ مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي حَدِيثِهِ " أَقْدَمُهُمْ سِنًّا " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَمَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ وَعَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ . قَالُوا أَحَقُّ النَّاسِ بِالإِمَامَةِ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ وَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ . وَقَالُوا صَاحِبُ الْمَنْزِلِ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا أَذِنَ صَاحِبُ الْمَنْزِلِ لِغَيْرِهِ فَلاَ بَأْسَ أَنْ يُصَلِّيَ بِهِ . وَكَرِهَهُ بَعْضُهُمْ وَقَالُوا السُّنَّةُ أَنْ يُصَلِّيَ صَاحِبُ الْبَيْتِ . قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَقَوْلُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " وَلاَ يُؤَمُّ الرَّجُلُ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ يُجْلَسُ عَلَى تَكْرِمَتِهِ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ " . فَإِذَا أَذِنَ فَأَرْجُو أَنَّ الإِذْنَ فِي الْكُلِّ وَلَمْ يَرَ بِهِ بَأْسًا إِذَا أَذِنَ لَهُ أَنْ يُصَلِّيَ بِهِ .
আওস ইবনু যাম’আজ (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবূ মাসঊদ আনসারী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরা’আন বেশি ভাল পড়তে জানে সে লোকদের ইমামতি করবে। যদি কুর’আন পাঠে সবাই সমান হয়, তাহলে যে ব্যক্তি বেশি হাদীস (সুন্নাহ) জানে। যদি সুন্নাহর বেলায়ও সবাই সমান হয়, তাহলে যে ব্যক্তি প্রথম হিজরাত করেছে। যদি এ ব্যাপারেও সবাই সমান হয়, তাহলে যে ব্যক্তি বয়সে বড়। কোন ব্যক্তি যেন অন্যের অধিকার ও প্রভাবিত এলাকায় তার সম্মতি ছাড়া ইমামতি না করে এবং তার অনুমতি ছাড়া তার বাড়িতে তার নিদিষ্ট আসনে না বসে। মাহমূদ বলেন, ইবনু নুমাইর তাঁর হাদীসে (আকসারুহুম সিন্নান-এর স্থলে) ‘আকদামুহুম সিন্নান’ বর্ণনা করেছেন (যে ব্যক্তি বয়জ্যেষ্ঠ)।সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৯৮০), মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে আবূ সা’ঈদ, আনাস ইবনু মালিক, মালিক ইবনু হুয়াইরিস ও ‘আমর ইবনু সালামাহ্ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ মাসঊদের হাদীসটি হাসান সহীহ।এ হাদীসের আলোকে বিদ্বানগণ বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন ও হাদীসে রাসূলে বেশি জ্ঞানী, সে-ই লোকদের ইমামতি করার বেশি হকদার। তাঁরা আরো বলেছেন, বাড়ির মালিক ইমামতি করার ব্যাপারে বেশি হকদার। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বাড়ির মালিকের সম্মতি বলে যে কেউ ইমামতি করতে পারে। কিন্তু অনেকে এটা পছন্দ করেননি। তাঁরা বলেছেন, বাড়ির মালিকের ইমামতি করাটাই সুন্নাত। ইমাম আহমাদ বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বানীঃ “ অন্যের অধিকার ও প্রভাবিত এলাকায় কেউ যেন ইমামতি না করে এবং তার সম্মানের আসনে সম্মতি ছাড়া না বসে’’-এখানে বসার সম্মতি দিলে তার মধ্যে ইমামতি করার আজ্ঞাও নিহিত রয়েছে। অনুমতি সাপেক্ষে ইমামতি করতেও দোষ নেই।