১২. অনুচ্ছেদঃ

রক্তক্ষরণ প্রসঙ্গে

জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ২০৫৩

ইকরিমা (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ

ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর তিনটি গোলাম ছিল। এরা রক্তমোক্ষণের কাজ করত। এদের মধ্যে দু’টি গোলাম তার ও পরিবারের উপার্জনের উদ্দেশ্যে অর্থের বিনিময়ে রক্তমোক্ষণ করত এবং অপরটি ইবনু আব্বাস (রাঃ) ও তার পরিবারের লোকদের রক্তমোক্ষণ করত।-সনদ দুর্বল

রাবী বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলতেন, আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রক্তমোক্ষণে অভিজ্ঞ দাস কতইনা ভাল! সে খারাপ রক্ত বের করে দিয়ে (উপার্জনের মাধ্যমে) পিঠের বোঝা হালকা করে এবং চোখের ময়লা দূর করে। যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩৪৭৮)ইবনু আব্বাস (রাঃ) আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিরাজে যাবার সময় তিনি ফেরেশতাদের যে দলকেই অতিক্রম করেন তারা বলেন, “আপনি অবশ্যই রক্তমোক্ষণ করাবেন”। সহীহরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ সতের, ঊনিশ ও একুশ তারিখে তোমাদের রক্তমোক্ষণ করানো উত্তম। তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা যেসমস্ত ঔষধ ব্যবহার কর তার মধ্যে উত্তম ঔষধ হচ্ছে নস্য, লাদুদ, রক্তমোক্ষণ ও জোলাপ। সহীহআব্বাস (রাঃ) ও তার সঙ্গীগণ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মুখ দিয়ে ঔষধ সেবন করান। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কে আমাকে ঔষধ সেবন করিয়েছে? সবাই এ কথায় চুপ থাকলেন। তিনি বলেন, যারা ঘরের মধ্যে উপস্থিত আছে তাদের মধ্যে তাঁর চাচা আব্বাস (রাঃ) ব্যতীত আর সবাইকে লাদু পান করানো হবে। “তাঁকে আব্বাস (রাঃ) লাদুদ করেছেন” এই অংশ ব্যতীত সহীহ, আর ঐ অংশটুকু মুনকার। কেননা ঐ অংশটুকু আইশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীস “আব্বাস ব্যতীত, কারণ তিনি তোমাদের নিকট উপস্থিত নেই”-এর বিপরীত।নাসরের মতে লাদূদ ও ওয়াজূর সমার্থবোধক। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আব্বাস ইবনু মানসূরের সূত্রেই শুধুমাত্র আমরা এ হাদীস প্রসঙ্গে জেনেছি। এ অনুচ্ছেদে আইশা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন