২. অনুচ্ছেদঃ
পবিত্রতা অর্জনের ফাযীলাত
জামে' আত-তিরমিজি : ০২
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ০২
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى الْقَزَّازُ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ أَوِ الْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَتْ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ أَوْ نَحْوِ هَذَا وَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتْ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنَ الذُّنُوبِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ حَدِيثُ مَالِكٍ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَأَبُو صَالِحٍ وَالِدُ سُهَيْلٍ هُوَ أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ وَاسْمُهُ ذَكْوَانُ . وَأَبُو هُرَيْرَةَ اخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ فَقَالُوا عَبْدُ شَمْسٍ وَقَالُوا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو وَهَكَذَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَهُوَ الأَصَحُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَثَوْبَانَ وَالصُّنَابِحِيِّ وَعَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ وَسَلْمَانَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . وَالصُّنَابِحِيُّ الَّذِي رَوَى عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ لَيْسَ لَهُ سَمَاعٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُسَيْلَةَ وَيُكْنَى أَبَا عَبْدِ اللَّهِ رَحَلَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الطَّرِيقِ وَقَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ . وَالصُّنَابِحُ بْنُ الأَعْسَرِ الأَحْمَسِيُّ صَاحِبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُقَالُ لَهُ الصُّنَابِحِيُّ أَيْضًا وَإِنَّمَا حَدِيثُهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمُ الأُمَمَ فَلاَ تَقْتَتِلُنَّ بَعْدِي " .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন মু’মিন অথবা মুসলিম বান্দা ওযূ করে এবং মুখমণ্ডল ধোয়, তার মুখমণ্ডল হতে তার চোখের দ্বারা কৃত সকল গুনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে দূর হয়ে যায়। যখন সে তার দু’হাত ধোয়, তার দু’হাতে কৃত সকল গুনাহ তার হাত হতে পানির সাথে অথবা পানির অবশিষ্ট বিন্দুর সাথে দূরীভূত হয়ে যায়। অতঃপর সে সকল গুনাহ হতে পবিত্র হয়ে যায়।সহীহ। আত্তা‘লীকুর রাগীব- (১/৯৫)
আবূ ‘ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি মালিক সুহাইল হতে, তিনি তাঁর পিতার সূত্রে এবং তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবূ সালিহ হচ্ছেন সুহাইলের পিতা। তাঁর নাম যাকওয়ান। আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর আসল নাম নিয়ে মতবিরোধ আছে। কেউ বলেছেন, তাঁর নাম আবদুশ শামস, আবার কেউ বলেছেন তাঁর নাম আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমা‘ঈল (ইমাম বুখারী) এ ধরনের কথাই বলেছেন এবং এটাই সবচাইতে সহীহ। এ অনুচ্ছেদে উসমান, সাওবান, সুনাবিহী, ‘আমর ইবনু ‘আবাসা, সালমান ও আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীদের বর্ণিত হাদীস রয়েছে। সুনাবিহী যিনি আবূ বাক্র (রাঃ)-এর নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছ থেকে কোন হাদীস শুনেননি। তাঁর নাম আবদুর রাহমান ইবনু উসাইলা এবং ডাকনাম ছিল আবূ আবদুল্লাহ। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে দেখা করার জন্য বের হয়েছিলেন, কিন্তু রাস্তায় থাকাকালীন সময়েই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মারা যান। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। আরেক সুনাবিহী ইবনুল আ‘সার আল-আহমাসী নামে পরিচিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী। তাঁর বর্ণিত হাদীস হলঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ ‘পূর্ববর্তী উম্মাতদের নিকট আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্যের গৌরব করব। অতএব আমি মারা যাবার পর তোমরা যেন একে অপরের সাথে ফিতনা-ফ্যাসাদে জড়িয়ে না পড়’।