১৩. অনুচ্ছেদঃ
দুটি ঢিলা দিয়ে ইস্তিনজা করা
জামে' আত-তিরমিজি : ১৭
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ১৭
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِحَاجَتِهِ فَقَالَ " الْتَمِسْ لِي ثَلاَثَةَ أَحْجَارٍ " . قَالَ فَأَتَيْتُهُ بِحَجَرَيْنِ وَرَوْثَةٍ فَأَخَذَ الْحَجَرَيْنِ وَأَلْقَى الرَّوْثَةَ وَقَالَ " إِنَّهَا رِكْسٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَكَذَا رَوَى قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ نَحْوَ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ . وَرَوَى مَعْمَرٌ وَعَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ . وَرَوَى زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ عَنْ أَبِيهِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ . وَرَوَى زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي زَائِدَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ . وَهَذَا حَدِيثٌ فِيهِ اضْطِرَابٌ . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ الْعَبْدِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ هَلْ تَذْكُرُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ شَيْئًا قَالَ لاَ .
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মলত্যাগ করতে যাওয়ার সময় (আমাকে) বললেনঃ আমার জন্য তিন টুকরা পাথর নিয়ে আস। রাবী বলেন, আমি দুটি পাথরের টুকরা এবং একটি শুকনা গোবরের টুকরা নিয়ে আসলাম। তিনি পাথরের টুকরা দু’টো রাখলেন এবং গোবরের টুকরাটা ফেলে দিলেন। তিনি বললেনঃ “এটা নাপাক জিনিস”। সহীহ। বুখারী - (১৫৬)।
আবূ ‘ঈসা বলেন, কাইস ইবনু রাবী‘ এ হাদীসটি আবূ ইসহাক হতে, তিনি আবূ উবাইদা হতে, তিনি ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে ইসরাঈল বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। মা’মার এবং ‘আম্মার ইবনু যুরাইক আবূ ইসহাক হতে, তিনি আলক্বামা হতে, তিনি ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। যুহাইর আবূ ইসহাক হতে, তিনি ‘আবদুর রহমান ইবনু আসওয়াদ হতে, তিনি নিজ পিতা আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ হতে তিনি ‘আবদু্ল্লাহ (রাঃ) হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। যাকারিয়া ইবনু আবূ যায়িদাহ আবূ ইসহাকের সূত্রে, তিনি ‘আবদুর রাহমান ইবনু ইয়াযীদের সূত্রে, তিনি আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদে অমিল রয়েছে। ‘আমর ইবনু মুররা বলেন, আমি আবূ উবাইদা ইবনু ‘আবদুল্লাহকে প্রশ্ন করলাম, আপনি কি ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে কোন হাদীস বর্ণনা করেছে? তিনি বললেন, না। আবূ ‘ঈসা বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আবদূর রাহমান দারিমীকে প্রশ্ন করলাম, আবূ ইসহাকের সূত্রে বর্ণিত এসব রিওয়াতের মধ্যে কোনটি সবার্ধিক সহীহ্ ? তিনি এর কোন জবাব দিতে পারেননি। আমি এ সম্পর্কে মুহাম্মদকে (বুখারী) প্রশ্ন করলাম। তিনিও এর কোন জবাব দেননি। আবূ ইসহাকের সূত্রে যুহাইর হতে বর্ণিত হাদীসকে তিনি বেশি সহীহ বলে গ্রহণ করেছেন এবং সহীহ বুখারীতে তা সংকলন করেছেন। আবূ ঈসা বলেনঃ আমার মতে ইসহাকের সূত্রে ইসরাঈর ও কাইস হতে বর্ণিত হাদীস সবচাইতে সহীহ। কেননা আবূ ইসহাক হতে বর্ণিত হাদীসসমূহ স্মরণ রাখার ব্যাপারে ইসরাঈল অন্যদের তুলনায় বেশি নির্ভরযোগ্য এবং সুপরিচিত রাবী। তাছাড়া কাইস ইবনু রাবী‘ ও তাঁর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আমি আবূ মূসা মুহাম্মদ ইবনু মুসান্নাকে বলতে শুনেছি; তিনি বলেন, আমি ‘আব্দুর রহমান ইবনু মাহদীকে বলতে শুনেছি, আবূ ইসহাক হতে সুফিয়ানের যে সমস্ত হাদীসের ক্ষেত্রে আমি ইসরাঈলের উপর নির্ভর করেছি সেক্ষেত্রে আমি অনেক হাদীস হারিয়ে ফেলেছি। কেননা সুফিয়ানের বর্ণনা অধিক পরিপূর্ণ। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ আবূ ইসহাকের সূত্রে যুহাইরের বর্ণনা খুব বেশি শক্তিশালী নয়। কেননা তিনি তাঁর নিকট শেষ বয়সে হাদীস শুনেছেন। ইবনু হাম্বল বলেন, তুমি যদি যায়িদা ও যুহাইরের নিকট হাদীস শুনে থাক তাহলে অন্যের নিকট তা শুনার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তুমি যদি যুহাইরকে আবূ ইসহাকের হাদীস বর্ণনা করতে শুন তাহলে তা অন্যের নিকট জিজ্ঞেস করে নিও। আবূ ইসহাকের নাম ‘আমর ইবনু ‘আবদিল্লাহ সাবিয়ী‘ হামদানী। আবূ উবাইদা বিনু ‘আবদিল্লাহ ইবনি মাসঊদ তাঁর পিতার নিকটে কোন হাদীস শুনেননি। তার আসল নামও জানা যায়নি।