১৪. অনুচ্ছেদঃ
‘ইশার নামাযের পর কথাবার্তা বলার অনুমতি সম্পর্কে
জামে' আত-তিরমিজি : ১৬৯
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ১৬৯
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْمُرُ مَعَ أَبِي بَكْرٍ فِي الأَمْرِ مِنْ أَمْرِ الْمُسْلِمِينَ وَأَنَا مَعَهُمَا . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَوْسِ بْنِ حُذَيْفَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الْحَسَنُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ جُعْفِيٍّ يُقَالُ لَهُ قَيْسٌ أَوِ ابْنُ قَيْسٍ عَنْ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثَ فِي قِصَّةٍ طَوِيلَةٍ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ فِي السَّمَرِ بَعْدَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ فَكَرِهَ قَوْمٌ مِنْهُمُ السَّمَرَ بَعْدَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ وَرَخَّصَ بَعْضُهُمْ إِذَا كَانَ فِي مَعْنَى الْعِلْمِ وَمَا لاَ بُدَّ مِنْهُ مِنَ الْحَوَائِجِ وَأَكْثَرُ الْحَدِيثِ عَلَى الرُّخْصَةِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ سَمَرَ إِلاَّ لِمُصَلٍّ أَوْ مُسَافِرٍ " .
‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলা আবূ বাকার (রাঃ)-এর সাথে মুসলমানদের স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করতেন। আমিও তাঁদের সাথে থাকতাম।সহীহ্। সহীহাহ্ (২৭৮১)।
এ অনুচ্ছেদে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর, আওস ইবনু হুযাইফা ও ‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ‘ঈসা বলেনঃ ‘উমার (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান। হাদীসটি ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট হতে আরো একটি সূত্রে একটু দীর্ঘ ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে। ‘ইশার নামাযের পর কথাবার্তা বলার ব্যাপারে সাহাবা, তাবিঈন ও পরবর্তী যুগের ‘আলিমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। একদল এটাকে মাকরূহ বলেছেন। অপর দলের মতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচনা ও অতি প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলার অনুমতি রয়েছে। (তিরমিযী বলেন) বেশিরভাগ হাদীস হতে অনুমতির কথাই প্রমাণিত হয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “নামাজী এবং মুসাফির ব্যতীত কারো জন্য ‘ইশার নামাযের পর কথাবার্তা বলা জায়েয নেই”।