১১. অনুচ্ছেদঃ
মানত পুরো করা
জামে' আত-তিরমিজি : ১৫৩৯
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ১৫৩৯
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ نَذَرْتُ أَنْ أَعْتَكِفَ لَيْلَةً فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ . قَالَ " أَوْفِ بِنَذْرِكَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ قَالُوا إِذَا أَسْلَمَ الرَّجُلُ وَعَلَيْهِ نَذْرُ طَاعَةٍ فَلْيَفِ بِهِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ لاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ بِصَوْمٍ . وَقَالَ آخَرُونَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ لَيْسَ عَلَى الْمُعْتَكِفِ صَوْمٌ إِلاَّ أَنْ يُوجِبَ عَلَى نَفْسِهِ صَوْمًا . وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ عُمَرَ أَنَّهُ نَذَرَ أَنْ يَعْتَكِفَ لَيْلَةً فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْوَفَاءِ . وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! জাহিলী আমলে আমি এক রাত মাসজিদুল হারামে ইতিকাফের মানত করেছিলাম। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার মানত পূর্ণ কর।সহীহ্, নাসা-ঈ
আবদুল্লাহ ইবনু আমর ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহী্হ্ বলেছেন। এ হাদীস মোতাবিক কয়েকজন অভিজ্ঞ আলিম বলেছেন, যদি কোন লোক ইসলাম ক্ববূল করে এবং আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যমূলক কাজের মানত যদি তার উপর থেকে যায় তবে সে এ মানত পুরো করবে। নাবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামে) এর কয়েকজন সাহাবী ও তৎপরবর্তীগণ বলেছেন, তাকে রোযা সহকারে ইতিকাফ করতে হবে। তারা মনে করেন রোযা ব্যতীত ইতিকাফ সম্পন্ন হয় না। অপর কয়েকজন অভিজ্ঞ আলিম বলেছেন, ইতিকাফ আদায়কারীর জন্য রোযা রাখা জরুরী নয়। তবে সে লোক ইতিকাফের সাথে রোযা রাখার মানতও করলে তবে তাকে রোযাও আদায় করতে হবে। তাদের দলীলঃ “উমার (রাঃ) মুসলমান হওয়ার আগে কা‘বা শরীফে এক রাত ইতিকাফের মানত করেছিলেন। তাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই মানত পুরো করার নির্দেশ দেন” (অথচ রাতে রোযা হয় না সুতরাং রোযা ব্যতীতও ইতিকাফ হয়)। এই মত দিয়েছেন ইমাম আহমাদ ও ইসহাকও।