১২. অনুচ্ছেদঃ

কুরবানী করতে হবে ঈদের নামায আদায়ে পর

জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ১৫০৮

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمِ نَحْرٍ فَقَالَ ‏"‏ لاَ يَذْبَحَنَّ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُصَلِّيَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَامَ خَالِي فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا يَوْمٌ اللَّحْمُ فِيهِ مَكْرُوهٌ وَإِنِّي عَجَّلْتُ نُسُكِي لأُطْعِمَ أَهْلِي وَأَهْلَ دَارِي أَوْ جِيرَانِي ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَأَعِدْ ذَبْحًا آخَرَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عِنْدِي عَنَاقُ لَبَنٍ وَهِيَ خَيْرٌ مِنْ شَاتَىْ لَحْمٍ أَفَأَذْبَحُهَا قَالَ ‏"‏ نَعَمْ وَهِيَ خَيْرُ نَسِيكَتَيْكَ وَلاَ تُجْزِئُ جَذَعَةٌ لأَحَدٍ بَعْدَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَجُنْدَبٍ وَأَنَسٍ وَعُوَيْمِرِ بْنِ أَشْقَرَ وَابْنِ عُمَرَ وَأَبِي زَيْدٍ الأَنْصَارِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يُضَحَّى بِالْمِصْرِ حَتَّى يُصَلِّيَ الإِمَامُ وَقَدْ رَخَّصَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ لأَهْلِ الْقُرَى فِي الذَّبْحِ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يُجْزِئَ الْجَذَعُ مِنَ الْمَعْزِ وَقَالُوا إِنَّمَا يُجْزِئُ الْجَذَعُ مِنَ الضَّأْنِ ‏.‏

বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কুরবানীর দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সামনে খুৎবা প্রদান করলেন। তিনি বললেনঃ (ঈদের) নামায আদায়ের আগে তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন কুরবানী না করে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মামা দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আজকের দিন তো এমন যে, পরে গোশত অপছন্দ লাগে। তাই আমি আমার পরিবারের সদস্যদের এবং প্রতিবেশীদেরকে খাওয়ানোর জন্য কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেন, তুমি আবার একটি পশু যবেহ করে দাও। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দুধ খায় এমন একটি বকরীর বাচ্চা এখনও আমার নিকট আছে, যা দু’টি হৃষ্টপুষ্ট বকরীর চাইতেও উত্তম। আমি কি এটাকে যবেহ করে দেব? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তোমার জন্য এটা উত্তম কুরবানী। তবে বকরীর এরূপ বাচ্চা কুরবানী করা তোমার পর আর কারো জন্য বৈধ হবে না।সহীহ্, ইরওয়া (২৪৯৫), সহীহ্ আবূ দাউদ (২৪৯৫-২৪৯৬), মুসলিম, বুখারী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

জাবির, জুনদাব, আনাস, উয়াইমির ইবনু আশকার, ইবনু উমার ও আবূ যাইদ আল-আনসারী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এ হাদীস মোতাবিক বেশির ভাগ অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন। তাদের মত অনুযায়ী শহরবাসী জনগণের জন্য ইমামের নামায সমাপ্তির পূর্বে কুরবানী করা বৈধ নয়। একদল আলিম গ্রামবাসীদের জন্য ফজরের নামাযের সময় হওয়ার পরই কুরবানীর সম্মতি দিয়েছেন। এই মত দিয়েছেন ইবনুল মুবারাকও। এ বিষয়ে আলিমদের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে যে, ছয় মাসের বকরীর বাচ্চা কুরবানী করা হলে তা যথেষ্ট হবে না। কিন্তু ছয় মাসের মেষের বাচ্চা কুরবানী করলে তা বৈধ হবে।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন