২৪. অনুচ্ছেদঃ
ছেলে-মেয়েদের বালেগ হওয়ার বয়স
জামে' আত-তিরমিজি : ১৩৬১
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ১৩৬১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَزِيرٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ عُرِضْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي جَيْشٍ وَأَنَا ابْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ فَلَمْ يَقْبَلْنِي فَعُرِضْتُ عَلَيْهِ مِنْ قَابِلٍ فِي جَيْشٍ وَأَنَا ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ فَقَبِلَنِي . قَالَ نَافِعٌ وَحَدَّثْتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَالَ هَذَا حَدُّ مَا بَيْنَ الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ . ثُمَّ كَتَبَ أَنْ يُفْرَضَ لِمَنْ يَبْلُغُ الْخَمْسَ عَشْرَةَ .حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ أَنَّ هَذَا حَدُّ مَا بَيْنَ الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ . وَذَكَرَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فِي حَدِيثِهِ . قَالَ نَافِعٌ فَحَدَّثْنَا بِهِ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَالَ هَذَا حَدُّ مَا بَيْنَ الذُّرِّيَّةِ وَالْمُقَاتِلَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ أَنَّ الْغُلاَمَ إِذَا اسْتَكْمَلَ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً فَحُكْمُهُ حُكْمُ الرِّجَالِ وَإِنِ احْتَلَمَ قَبْلَ خَمْسَ عَشْرَةَ فَحُكْمُهُ حُكْمُ الرِّجَالِ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ الْبُلُوغُ ثَلاَثَةُ مَنَازِلَ بُلُوغُ خَمْسَ عَشْرَةَ أَوْ الاِحْتِلاَمُ فَإِنْ لَمْ يُعْرَفْ سِنُّهُ وَلاَ احْتِلاَمُهُ فَالإِنْبَاتُ يَعْنِي الْعَانَةَ .
ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে কোন এক সামরিক অভিযানে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সামনে হাযির করা হয়। তখন আমার বয়স ছিল চৌদ্দ বছর। তিনি আমাকে (সৈনিক হিসাবে) গ্রহণ করেননি। এর পরের বছর এক সামরিক অভিযানে যাওয়ার সময় আমাকে আবার তার সামনে হাযির করা হয়। তখন আমার বয়স ছিল পনের বছর। এবার তিনি আমাকে সেনাবাহিনীতে নিয়ে নিলেন। নাফি (রহঃ) বলেন, আমি এ হাদীসটি উমার ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ)-এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেনঃ এটাই হল নাবালেগ ও বালেগের মধ্যকার বয়সসীমা। তারপর তিনি লিখিত নির্দেশ প্রদান করলেন- যে পনের বছর বয়সে পৌঁছেছে তার ভাতা নির্ধারণের জন্য।সহীহ্ বুখারী- (২৬৬৪, ৬/৩০)
ইবনু আবী উমার সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা হতে, তিনি উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার হতে, তিনি নাফি হতে এই সূত্রেও ইবনু উমার (রাঃ) হতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উপরের হাদীসের মত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এ কথাটুকু এই সূত্রে উল্লেখ নেইঃ উমার ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) লিখে পাঠালেন, এটাই বালেগ ও নাবালেগের মধ্যকার বয়সসীমা। একথাই ইবনু উআইনা তার হাদীসের মধ্যে উল্লেখ করেছেনঃ আমি এ হাদীসটিকে উমার ইবনু আবদুল আযীযের সামনে বর্ণনা করলে তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে নাবালেগ ও সৈনিকের মধ্যে বয়সসীমা।এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ আলিমগণ আমল করেছেন। এরকম মতই সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহ্মাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর। তাদের মতে, নাবালেগ সন্তান পনের বছরে পৌছার সাথে সাথে বালেগদের মধ্যে গণ্য হবে। পনের বছরের পূর্বেই যদি স্বপ্নদোষ হয় তবে সে বলেগ বলে গণ্য হবে। আহ্মাদ ও ইসহাক বলেছেন, বালেগ হওয়ার জন্য তিনটি বিকল্প নিদর্শন রয়েছে, পনের বছর বয়স হওয়া; ইহ্তিলাম (বীর্যপাত) হওয়া; যদি এরকম হয় যে, বয়সও অনুমান করা যাচ্ছে না আবার ইহ্তিলামও হয় না এক্ষেত্রে লজ্জাস্থানে লোম গজানোকে ধরে নিতে হবে।