৪. অনুচ্ছেদঃ
দুধপান প্রসঙ্গে একজন মহিলার সাক্ষ্য
জামে' আত-তিরমিজি : ১১৫১
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ১১৫১
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ وَسَمِعْتُهُ مِنْ، عُقْبَةَ وَلَكِنِّي لِحَدِيثِ عُبَيْدٍ أَحْفَظُ قَالَ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً فَجَاءَتْنَا امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ أَرْضَعْتُكُمَا . فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ تَزَوَّجْتُ فُلاَنَةَ بِنْتَ فُلاَنٍ فَجَاءَتْنَا امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ أَرْضَعْتُكُمَا وَهِيَ كَاذِبَةٌ . قَالَ فَأَعْرَضَ عَنِّي . قَالَ فَأَتَيْتُهُ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ فَأَعْرَضَ عَنِّي بِوَجْهِهِ فَقُلْتُ إِنَّهَا كَاذِبَةٌ . قَالَ " وَكَيْفَ بِهَا وَقَدْ زَعَمَتْ أَنَّهَا قَدْ أَرْضَعَتْكُمَا دَعْهَا عَنْكَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ " دَعْهَا عَنْكَ " . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَجَازُوا شَهَادَةَ الْمَرْأَةِ الْوَاحِدَةِ فِي الرَّضَاعِ . وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ تَجُوزُ شَهَادَةُ امْرَأَةٍ وَاحِدَةٍ فِي الرَّضَاعِ وَيُؤْخَذُ يَمِينُهَا . وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ تَجُوزُ شَهَادَةُ الْمَرْأَةِ الْوَاحِدَةِ حَتَّى يَكُونَ أَكْثَرَ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . سَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ لاَ تَجُوزُ شَهَادَةُ امْرَأَةٍ وَاحِدَةٍ فِي الْحُكْمِ وَيُفَارِقُهَا فِي الْوَرَعِ .
উকবা ইবনুল হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এক মহিলাকে বিয়ে করলাম। তারপর আমাদের নিকট একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এসে বলল, তোমাদের দুজনকেই আমি দুধ পান করিয়েছি। আমি (উকবা) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললাম, অমুকের কন্যা অমুককে আমি বিয়ে করেছি। আমাদের নিকট এক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এসে বলল, “তোমাদের দুজনকেই আমি দুধ পান করিয়েছি”। সে মিথ্যাবাদিনী। বর্ণনাকারী বলেন, (এ কথায়) তিনি আমার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আমি ঘুরে গিয়ে তাঁর সামনে এলাম, তিনি আমার কাছ থেকে তার মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আমি বললাম, সেতো মিথ্যাবাদিনী। তিনি বললেনঃ “তুমি কিভাবে এর সাথে বিয়ে বহাল রাখতে পার ! অথচ সে বলেছে, সে দুধ পান করিয়েছে তোমাদের দুজনকেই। সুতরাং তুমি তাকে ছেড়ে দাও (তালাক দাও)।সহীহ্, ইরওয়া (২১৪৬), বুখারী
এই অনুচ্ছেদে ইবনু উমর (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, উকবা ইবনুল হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্। এই হাদীসটি উকবা (রাঃ) হতে আরো কয়েকটি সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু উবাইদা ইবনু আবূ মারইয়ামের নাম সেখানে উল্লেখ নেই এবং "তুমি তাকে ছেড়ে দাও" এ কথাটিরও উল্লেখ নেই। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবা ও তাবিঈ মত প্রকাশ করেছেন। তারা একজন মহিলাকে দুধপানের সম্পর্ক প্রমাণের জন্য সাক্ষ্য অনুমোদন করেছেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, একজন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য দুধপান প্রমাণের ক্ষেত্রে গ্রহণ করা যায়, তবে সেই মহিলাকে শপথও করাতে হবে। এই মত গ্রহণ করেছেন ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)। আর একদল বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, একজন মহিলার সাক্ষ্য এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়, যতক্ষণ একজনের বেশি সাক্ষী না পাওয়া যায়। এই অভিমত ইমাম শাফিঈর। ওয়াকী (রহঃ) বলেন, একজন মহিলার সাক্ষ্য দুধপানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তবে দুজনকেই সতর্কতার জন্য আলাদা করে দিতে হবে।