১৭. অধ্যায়ঃ

ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, ক্বিরান ও তামাত্তু’ হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়িয, একত্রে ‘উমরাহ ও হাজ্জের ইহরাম বাঁধাও জায়িয এবং ক্বিরান হাজ্জ পালনকারী কখন ইহরাম মুক্ত হবে

সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৮১২

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَفْلَحَ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ وَفِي حُرُمِ الْحَجِّ وَلَيَالِي الْحَجِّ حَتَّى نَزَلْنَا بِسَرِفَ فَخَرَجَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ ‏"‏ مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ مِنْكُمْ هَدْىٌ فَأَحَبَّ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ فَلاَ ‏"‏ ‏.‏ فَمِنْهُمُ الآخِذُ بِهَا وَالتَّارِكُ لَهَا مِمَّنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْىٌ فَأَمَّا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَانَ مَعَهُ الْهَدْىُ وَمَعَ رِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِهِ لَهُمْ قُوَّةٌ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ ‏"‏ مَا يُبْكِيكِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ سَمِعْتُ كَلاَمَكَ مَعَ أَصْحَابِكَ فَسَمِعْتُ بِالْعُمْرَةِ فَمُنِعْتُ الْعُمْرَةَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَمَا لَكِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ لاَ أُصَلِّي ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَلاَ يَضُرُّكِ فَكُونِي فِي حَجِّكِ فَعَسَى اللَّهُ أَنْ يَرْزُقَكِيهَا وَإِنَّمَا أَنْتِ مِنْ بَنَاتِ آدَمَ كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْكِ مَا كَتَبَ عَلَيْهِنَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَخَرَجْتُ فِي حَجَّتِي حَتَّى نَزَلْنَا مِنًى فَتَطَهَّرْتُ ثُمَّ طُفْنَا بِالْبَيْتِ وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُحَصَّبَ فَدَعَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ ‏"‏ اخْرُجْ بِأُخْتِكَ مِنَ الْحَرَمِ فَلْتُهِلَّ بِعُمْرَةٍ ثُمَّ لْتَطُفْ بِالْبَيْتِ فَإِنِّي أَنْتَظِرُكُمَا هَا هُنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَخَرَجْنَا فَأَهْلَلْتُ ثُمَّ طُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَجِئْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي مَنْزِلِهِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ فَقَالَ ‏"‏ هَلْ فَرَغْتِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ فَآذَنَ فِي أَصْحَابِهِ بِالرَّحِيلِ فَخَرَجَ فَمَرَّ بِالْبَيْتِ فَطَافَ بِهِ قَبْلَ صَلاَةِ الصُّبْحِ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَدِينَةِ ‏.

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা হাজ্জের মাসসমূহে, হাজ্জের সময় ও স্থানসমূহে (অথবা হাজ্জের সময়কার বিধি-নিষেধ অনুসরণ করে) এবং হাজ্জের রাতসমূহে ইহরাম বেঁধে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে রওনা হলাম। আমরা যখন সারিফ নামক স্থানে যাত্রা বিরতি করলাম, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সাহাবীগণের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, তোমাদের মধ্যে যার সাথে কুরবানীর পশু নেই, সে যদি চায় তবে সে এই হাজ্জকে ‘উমরায় পরিবর্তিত করে নিক। আর যার সাথে কুরবানীর পশু (হাদী) আছে, সে যেন এরূপ না করে। তাদের মাঝে কিছু সংখ্যক এটা গ্রহণ করল এবং কিছু সংখ্যক- যাদের সাথে কুরবানীর পশু ছিল না, তারা ‘উমরাহ্ করল না। কিন্তু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর স্বচ্ছল সাহাবীগণের সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট প্রবেশ করলেন এবং আমি তখন কাঁদছিলাম। তিনি বললেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, আমি আপনার সাহাবীগণের উদ্দেশে আপনার কথাবার্তা শুনেছি যে, আপনি ‘উমরাহ্ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আমি তা করতে পারছি না। তিনি বললেন, কেন, তোমার কী হয়েছে? আমি বললাম, আমি সলাত আদায় করতে পারছি না। আমার ঋতু দেখা দিয়েছে। তিনি বললেন, এতে তোমার কোন ক্ষতি নেই, তুমি হাজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালন কর। আশা করি আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে ‘উমরাহ্ পালনের সুযোগ দেবেন। তুমি আদাম (আঃ)-এর কন্যাদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি তাদের জন্য যা নির্ধারণ করেছেন, তোমার জন্যও তা নির্ধারণ করেছেন। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, অতএব আমি হাজ্জের জন্য বের হলাম। অবশেষে মিনায় অবতরণ করলাম এবং পাক হয়ে গেলাম। এরপর আমি বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুহাস্সাবে অবতরণ করলেন এবং ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ)-কে ডেকে বললেন, তোমার বোনকে হারাম সীমার বাইরে নিয়ে যাও, সে (সেখানে গিয়ে ) ‘উমরার জন্য ইহরাম বাঁধবে এবং বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করবে। আমি তোমাদের জন্য এখানে অপেক্ষা করব। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমরা রওনা হয়ে (তান’ঈম) গেলাম এবং (সেখানে) ইহরাম বাঁধলাম, অতঃপর বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করলাম এবং সাফা-মারওয়াহ্ সা’ঈ করলাম। অতঃপর আমরা মধ্যরাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি স্বস্থানেই ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি ‘উমরাহ্ সম্পাদন করে নিয়েছো? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি তাঁর সাহাবীগণের রওনা হওয়ার জন্য ঘোষণা দিলেন। তিনি রওনা হয়ে বায়তুল্লাহ পৌঁছলেন এবং ফজরের সলাতের পূর্বে তাঁর ত্বওয়াফ করলেন, অতঃপর মাদীনার উদ্দেশে রওনা হলেন। (ই.ফা. ২৭৮৯, ই.সে. ২৭৮৭)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন