১. অধ্যায়ঃ
লি'আন সম্পর্কে
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ، السَّاعِدِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُوَيْمِرًا الْعَجْلاَنِيَّ جَاءَ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ الأَنْصَارِيِّ فَقَالَ لَهُ أَرَأَيْتَ يَا عَاصِمُ لَوْ أَنَّ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ فَسَلْ لِي عَنْ ذَلِكَ يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَسَأَلَ عَاصِمٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسَائِلَ وَعَابَهَا حَتَّى كَبُرَ عَلَى عَاصِمٍ مَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَجَعَ عَاصِمٌ إِلَى أَهْلِهِ جَاءَهُ عُوَيْمِرٌ فَقَالَ يَا عَاصِمُ مَاذَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ عَاصِمٌ لِعُوَيْمِرٍ لَمْ تَأْتِنِي بِخَيْرٍ قَدْ كَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسْأَلَةَ الَّتِي سَأَلْتُهُ عَنْهَا . قَالَ عُوَيْمِرٌ وَاللَّهِ لاَ أَنْتَهِي حَتَّى أَسْأَلَهُ عَنْهَا . فَأَقْبَلَ عُوَيْمِرٌ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَطَ النَّاسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَدْ نَزَلَ فِيكَ وَفِي صَاحِبَتِكَ فَاذْهَبْ فَأْتِ بِهَا " . قَالَ سَهْلٌ فَتَلاَعَنَا وَأَنَا مَعَ النَّاسِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا فَرَغَا قَالَ عُوَيْمِرٌ كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا . فَطَلَّقَهَا ثَلاَثًا قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَكَانَتْ سُنَّةَ الْمُتَلاَعِنَيْنِ .
সাহ্ল ইবনু সা’দ ইবনু সা’দ সা’ইদী (রাযিঃ) হতে বর্ণিতঃ
‘উওয়াইমির আল-‘আজলানী (রাযীঃ) ‘আসিম ইবনু ‘আদী আনসারী (রাযীঃ)-এর কাছে এসে তাকে বললেন, হে ‘আসিম! যদি কেউ তার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন পুরুষকে (ব্যভিচারে লিপ্ত)পায়; তবে তোমার অভিমত কী? সে কি তাকে হত্যা করবে? আর তখন তো তোমরা তাকে (কিসাস হিসেবে) হত্যা করবে। যদি তা না হয় তবে সে কী করবে? হে ‘আসিম! তুমি আমার জন্য এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে জিজ্ঞেস কর।তখন ‘আসিম রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে জিজ্ঞেস করলেন। কিন্তু রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ রকম প্রশ্ন করা অপছন্দ করলেন এবং এটি দূষণীয় মনে করলেন [২]। ‘আসিম রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। এর নিকট যা শুনলেন এতে বড়ই দুঃখিত হলেন। যখন ‘আসিম ফিরে এলেন, তখন ‘উওয়াইমির তার কাছে এসে বললেনঃ হে ‘আসিম! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাকে কী বলেছেন? ‘আসিম ‘উওয়াইমিরকে বললেনঃ তুমি আমার কাছে ভাল কাজ নিয়ে আসনি। তুমি যে বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে বলেছ তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুবই অপছন্দ করেছেন। ‘উওয়াইমির (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস না করে ক্ষান্ত হব না। তখন ‘উওয়াইমির গেলেন এবং লোক সমাবেশে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে (ব্যভিচারে লিপ্ত) দেখতে পায় তাহলে সে–কি তাকে হত্যা করে ফেলবে? এরপর তো (কিসাস হিসেবে) আপনারা তাকে হত্যা করে ফেলবেন। অথবা সে কী করবে? তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে আল্লাহর হুকুম নাযিল হয়েছে। তুমি যাও, তোমার স্ত্রীকে নিয়ে এসো। সাহল বললেনঃ এরপর তারা উভয়ে (স্বামী-স্ত্রী) লি’আন করলো। আর আমিও তখন লোকজনদের সাথে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট হাযির ছিলাম। যখন লি’আন সমাধা করলেন তখন ‘উওয়াইমির বললেনঃ হে আল্লাহ্র রসূল! যদি আমি তাকে আমার স্ত্রী হিসেবে রেখে দেই তাহলে তো আমি তার উপর মিথ্যারোপকারী হয়ে গেলাম। রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নির্দেশ দেয়ার আগেই তিনি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, তখন থেকে লি’আনকারীদের জন্য এটাই নিয়ম-বিধান হিসেবে পরিণত হল। (ই.ফা.৩৬০১, ৪র্থ খন্ড; ই.সে.৩৬০১, ৫ম খন্ড)
[২] লি’আন বিষয়ক প্রশ্নটি রসূলুল্লাহ (সাঃ) অপছন্দনীয় ও দূষণীয় মনে করেছেন এ কারণে যে, এমনতর অশ্লীল ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেনি- (সহীহ মুসলিম, শারহে নাবাবী ১/৪৮৮ পৃঃ)। এটি মুসলিমদের জন্য বদনাম এবং কাফিরদের জন্য খুশীর সংবাদ।
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ الأَنْصَارِيُّ، أَنَّ عُوَيْمِرًا الأَنْصَارِيَّ، مِنْ بَنِي الْعَجْلاَنِ أَتَى عَاصِمَ بْنَ عَدِيٍّ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَأَدْرَجَ فِي الْحَدِيثِ قَوْلَهُ وَكَانَ فِرَاقُهُ إِيَّاهَا بَعْدُ سُنَّةً فِي الْمُتَلاَعِنَيْنِ . وَزَادَ فِيهِ قَالَ سَهْلٌ فَكَانَتْ حَامِلاً فَكَانَ ابْنُهَا يُدْعَى إِلَى أُمِّهِ . ثُمَّ جَرَتِ السُّنَّةُ أَنَّهُ يَرِثُهَا وَتَرِثُ مِنْهُ مَا فَرَضَ اللَّهُ لَهَا .
সাহ্ল ইবনু সা’দ (রাযিঃ) হতে বর্ণিতঃ
‘আজলান গোত্রের ‘উওয়াইমির আনসারী ‘আসিম ইবনু ‘আদীর কাছে এলেন ... পরবর্তী অংশ মালিক বর্ণিত হাদীসের মত বর্ণনা করেন। তিনি তার হাদীসে এ কথাও বলেছেন, “উওয়াইমির তার স্ত্রীকে আলাদা করে দেয়াতে পরবর্তীতে লি’আনকারীদ্বয়ের জন্য তা বিধানরূপে পরিগণিত হল।’’ তিনি তার বর্ণনায় আরও উল্লেখ করেছেন, “সাহল বলেছেন- সে মহিলাটি ছিল গর্ভবতী। সে গর্ভজাত সন্তানটিকে পরবর্তীতে তার মায়ের দিকে সম্বন্ধ করে ডাকা হয়।’’ এরপর এ বিধান প্রবর্তিত হলো যে, সে তার মায়ের ওয়ারিস পাবে এবং তার মা আল্লাহর নির্ধারিত অংশ হিসেবে তার (সন্তান) থেকে মিরাসের অধিকারী হবে। (ই.ফা.৩৬০২, ই.সে.৩৬০২)