১৭. অধ্যায়ঃ
ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, ক্বিরান ও তামাত্তু’ হাজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা জায়িয, একত্রে ‘উমরাহ ও হাজ্জের ইহরাম বাঁধাও জায়িয এবং ক্বিরান হাজ্জ পালনকারী কখন ইহরাম মুক্ত হবে
সহিহ মুসলিম : ২৮১১
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ২৮১১
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي خَالِي، مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ يَحْيَى قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفْرَدَ الْحَجَّ .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- ইফরাদ হাজ্জ করেছিলেন। [১৯] (ই.ফা. ২৭৮৮, ই.সে. ২৭৮৬)
[১৯] ‘আয়িশাহ্ এবং ইবনু ‘উমার-এর বর্ণনায় রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জে ইফরাদ করেছেন, এর তিনটি অর্থ হতে পারে- (ক) রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কেবল হাজ্জের তালবিয়াহ্ পাঠ করেছিলেন, (খ) দ্বিতীয় অর্থ এই যে, হাজ্জের কার্যে ইফরাদ করেছেন অর্থাৎ হাজ্জ ও ‘উমরার জন্য ত্বওয়াফ ও সা’ঈ একটি করেই করেছেন, (গ) হিজরতের পর একবারই হাজ্জ করেছেন, কিন্তু ‘উমরার বিপরীত, কেননা তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবনে চারবার ‘উমরাহ্ করেছেন, তিনটির মধ্যে ইফরাদের দ্বিতীয় অর্থই সঠিক এবং ইবনু ‘উমার (রাঃ) এ অর্থই উদ্দেশ্য যে, দু’টি কাজ একবার করেই আদায় করেছেন। আর এ অর্থ গ্রহণের মাধ্যমে সব বর্ণনার মধ্যে সামঞ্জস্যও হয়ে যায় এবং রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্যও এটা উপযুক্ত যে, তিনি উম্মাতের জন্য সহজ বিধান চান। এজন্যই রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে ইরশাদ করেন, তোমাদের এ ত্বওয়াফ (অর্থাৎ ত্বওয়াফে ইফাযাহ্) হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ উভয়ের জন্য যথেষ্ট। (যাদুল মা’আদ)