১/৬২.
কতিপয় ব্যক্তির অন্তর থেকে আমানাত ও ঈমান উঠিয়ে নেয়া আর অন্তরে ফিতনা গেড়ে যাওয়া।
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ৮৭
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ৮৭
حديث حُذَيْفَةَ قَالَ: حَدَّثَنا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَديثَيْنِ، رَأَيْتُ أَحَدَهُمَا، وَأَنا أَنْتَظِرُ الآخَرَ حَدَّثَنا أَنَّ الأَمانَةَ نَزَلَتْ في جَذْرِ قُلوبِ الرِّجالِ، ثُمَّ عَلِمُوا مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ عَلِمُوا مِنَ السُّنَّةِ وَحَدَّثَنا عَنْ رَفْعِها قَالَ: يَنامُ الرَّجُلُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ الأَمانَةُ مِنْ قَلْبِهِ، فَيَظَلُّ أَثَرُها مثل أَثَر الْوَكْتِ، ثُمَّ يَنامُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ، فَيَبْقى أَثَرُها مِثْلَ الْمَجْلِ كَجَمْرِ دَحْرَجْتَهُ عَلى رِجْلِكَ، فَنَفِطَ فَتَرَاهُ مُنْتَبِرًا وَلَيْسَ فِيهِ شَيْءٌ، فَيُصْبِحُ النَّاسُ يَتَبايَعُونَ [ص: 28] فَلاَ يَكَادُ أَحَدٌ يُؤَدِّي الأَمَانَةَ، فَيُقَالُ إِنَّ فِي بَنِي فُلاَنٍ رَجُلاً أَمِينًا؛ وَيُقَالُ لِلرَّجُلِ مَا أَعْقَلَهُ وَمَا أَظْرَفَهُ وَمَا أَجْلَدَهُ وَمَا فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةِ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍوَلَقَدْ أَتَى عَلَيَّ زَمَانٌ وَمَا أُبَالِي أَيَّكُمْ بَايَعْتُ؛ لَئِنْ كَانَ مُسْلِمًا رَدَّهُ عَلَيَّ الإِسْلاَمُ، وَإِنْ كَانَ نَصْرَانِيًّا رَدَّهُ عَلَيَّ سَاعِيهِ، فَأَمَّا الْيَوْمَ، فَمَا كُنْتُ أُبَايِعُ إِلاَّ فُلاَنًا وَفُلاَنًا
হুযাইফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
হুযাইফাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে দু’টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। একটি তো আমি প্রত্যক্ষ করেছি এবং দ্বিতীয়টির জন্য অপেক্ষা করছি। নাবী (সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আমানত মানুষের অন্তর্মূলে অধোগামী হয়। তারপর তারা কুরআন থেকে জ্ঞান অর্জন করে। এরপর তারা নাবীর সুন্নাহ থেকে জ্ঞান অর্জন করে। আবার বর্ণনা করেছেন আমানত তুলে নেয়া সম্পর্কে, যে ব্যক্তিটি (ঈমানদার) এক পর্যায়ে ঘুমালে পর, তার অন্তর থেকে আমানত তুলে নেয়া হবে, তখন একটি বিন্দুর মত চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। পুনরায় ঘুমাবে। তখন আবার উঠিয়ে নেয়া হবে। অতঃপর তার চিহ্ন ফোস্কার মত অবশিষ্ট থাকবে। তোমার পায়ের উপর গড়িয়ে পড়া অঙ্গার সৃষ্ট চিহ্ন, যেটিকে তুমি ফোলা মনে করবে, অথচ তার মধ্যে আদৌ কিছু নেই। মানুষ কারবার করবে বটে, কেউ আমানত আদায় করবে না। তারপর লোকেরা বলাবলি করবে যে, অমুক বংশে একজন আমানতদার লোক রয়েছে। সে ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করা হবে যে, সে কতই না বুদ্ধিমান, কতই না বিচক্ষণ, কতই না বাহাদুর? অথচ তার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও থাকবে না।(বর্ণনাকারী বলেন) আমার উপর এমন এক যমানা অতিবাহিত হয়েছে যে, আমি তোমাদের কারো সাথে বেচাকেনা করলাম, সেদিকে ভ্রক্ষেপ করতাম না। কারণ সে মুসলিম হলে ইসলামই আমার হক ফিরিয়ে দেবে। আর সে নাস্রানী হলে তার শাসকই আমার হক ফিরিয়ে দেবে। অথচ বর্তমানে আমি অমুক অমুককে ব্যতীত বেচাকেনা করি না। (বুখারী পর্ব ৮১ : /৩৫ হাঃ ৬৪৯৭, মুসলিম ১/৬৪ হাঃ ১৪৩)