১৩/৩৫.
সওম দাহর (একাধারে এক যুগ) সওম করা ঐ ব্যক্তির জন্য নিষিদ্ধ, যার এর মাধ্যমে ক্ষতি হবে অথবা এর মাধ্যমে অন্যের হক নষ্ট হবে অথবা দু’ ঈদে সওম ভঙ্গ না করা এবং তাশরীকের দিনগুলোতে সওম ভঙ্গ না করা এবং একদিন বিরতি দিয়ে সওম করার ফাযীলাত।
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ৭১৪
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ৭১৪
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرو، قَالَ: أُخْبِرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي أَقُولُ، وَاللهِ لأَصُومَنَّ النَّهَارَ وَلأَقُومَنَّ اللَّيْلَ مَا عِشْتُ؛ فَقُلْتُ لَهُ: قَدْ قُلْتُهُ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي قَالَ: فَإِنَّكَ لاَ تَسْتَطِيع ذلِكَ، فَصُمْ وَأَفْطِرْ، وَقُمْ وَنَمْ، وَصُمْ مِنَ الشَّهْرِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، فَإِنَّ الْحَسَنَةَ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا، وَذلِكَ مِثْلُ صِيَامِ الدَّهْرِ قُلْتُ: إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذلِكَ قَالَ: فَصُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمَيْنِ قُلْتُ: إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذلِكَ قَالَ: فَصُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمًا، فَذَلِكَ صِيَامُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ، وَهُوَ أَفْضَلُ الصِّيَامُ فَقُلْتُ: إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ أَفْضَلَ مِنْ ذلِكَ
‘আবদুল্লাহ ইব্নু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আমার সম্পর্কে এ কথা পৌঁছে যায় যে, আমি বলেছি, আল্লাহর কসম, আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন সওম পালন করব এবং রাতভর সলাত আদায় করব। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করায় আমি বললাম, আপনার উপর আমার পিতা-মাতা কুরবান হোন! আমি এ কথা বলেছি। তিনি বললেনঃ তুমি তো এরূপ করতে সক্ষম হবে না। বরং তুমি সওম পালন কর ও ছেড়েও দাও, (রাতে) সলাত আদায় কর ও নিদ্রাও যাও। তুমি মাসে তিন দিন করে সওম পালন কর, কারণ নেক কাজের ফল তার দশগুণ; এভাবেই সারা বছরের সওম পালন হয়ে যাবে। আমি বললাম, আমি এর থেকে বেশি করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেনঃ তাহলে একদিন সওম পালন কর এবং দু’দিন ছেড়ে দাও। আমি বললাম, আমি এর হতে বেশি করার শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ তাহলে একদিন সওম পালন কর আর একদিন ছেড়ে দাও। এ হল দাঊদ (‘আ.)-এর সওম এবং এ হল সর্বোত্তম (সওম)। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশি করার সামর্থ্য রাখি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এর চেয়ে উত্তম সওম (রাখার পদ্ধতি) আর নেই। (বুখারী পর্ব ৩০ : /৫৬ হাঃ ১৯৭৬, মুসলিম হাঃ)