১২/২১.
মুটে মজুর সদাকাহ করতে পারে এবং অল্প পরিমাণ সদাকাহ্কারীকে দোষারোপ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ৫৯৮
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ৫৯৮
حديث أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: لَمَّا أُمِرْنَا بِالصَّدَقَةِ كُنَّا نَتَحَامَلُ؛ فَجَاءَ أَبُو عَقِيلٍ بِنِصْفِ صَاعٍ، وَجَاءَ إِنْسَانٌ بِأَكْثَرَ مِنْهُ؛ فَقَالَ الْمُنَافِقُونَ: إِنَّ اللهَ لَغَنِيٌّ عَنْ صَدَقَةِ هذَا، [ص: 211] وَمَا فَعَلَ هذَا الآخَرُ إِلاَّ رِئَاءً فَنَزَلَتْ (الَّذِينَ يَلْمِزُونَ الْمُطَّوِّعِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فِي الصَّدَقَاتِ وَالَّذِينَ لاَ يَجِدُونَ إِلاَّ جُهْدَهُمْ) الآيَةَ
আবূ মাস‘উদ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন আমাদের সদাকাহ প্রদানের নির্দেশ দেয়া হল, তখন আমরা পরিশ্রমিকের বিনিময়ে বোঝা বহন করতাম। একদা আবূ ‘আকীল (রাঃ) অর্ধ সা‘ খেজুর (দান করার উদ্দেশে) নিয়ে আসলেন এবং অন্য এক ব্যক্তি (‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আউফ) তার চেয়ে অধিক মালামাল (একই উদ্দেশে) নিয়ে উপস্থিত হলেন। (এগুলো দেখে) মুনাফিকরা সমালোচনা করতে লাগল, আল্লাহ এ ব্যক্তির সদাকাহ্র মুখাপেক্ষী নন। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি [‘আবদুর রহমান ইবন ‘আউফ (রাঃ)] শুধু মানুষ দেখানোর জন্য অধিক মালামাল দান করেছে। এ সময় এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়- “মু‘মিনদের মধ্যে যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সদাকাহ দেয় এবং যারা নিজেদের পরিশ্রমলব্ধ বস্তু ছাড়া ব্যয় করার কিছুই পায় না, তাদেরকে যারা দোষারোপ করে ও ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে, আল্লাহ তাদের বিদ্রুপ করেন। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি”- (সূরাহ বারাআত ৯/৭৯)। (বুখারী পর্ব ৬৫ : /৯ হাঃ ৪৬৬৮, মুসলিম ১২/২১ হাঃ ১০১৮)