৪/৩২.
মনোযোগ সহকারে কিরাআত শ্রবণ।
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ২৫৮
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ২৫৮
حديث ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى (لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ) قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَالِجُ مِنَ التَّنْزِيلِ شِدَّةً، وَكَانَ مِمَّا يُحَرِّكُ شَفَتَيْهِ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَأَنَا أُحَرِّكُهُمَا لَكُمْ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَرِّكُهُمَا وَقَالَ سَعِيدٌ (هُوَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ رَاوِي الْحَدِيثِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ) : أَنَا أُحَرِّكُهُمَا كَمَا رَأَيْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يُحَرِّكُهُمَا، فَحَرَّكَ شَفَتَيْهِ فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى (لاَ تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ) قَالَ جَمْعُهُ لَهُ فِي صَدْرِكَ وَتَقْرَأَهُ، (فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ) قَالَ: فَاسْتَمِعْ لَهُ وَأَنْصِتْ (ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ) ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا أَنْ تَقْرَأَهُ فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَعْدَ ذَلِكَ، إِذَا أَتَاهُ جِبْرِيلُ اسْتَمَعَ، فَإِذَا انْطَلَقَ جِبْرِيلُ قَرَأَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا قَرَأَهُ
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। মহান আল্লাহর বাণীঃ “ওয়াহী দ্রুত আয়ত্ত করার জন্য আপনি ওয়াহী নাযিল হওয়ার সময় আপনার জিহ্বা নাড়বেন না।” (সূরাহ কিয়ামাহঃ ১৬)-এর ব্যাখ্যায় ইবনু ‘আব্বাস বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওয়াহী অবতরণের সময় তা আয়ত্ত করতে বেশ চেষ্টা করতেন এবং প্রায়ই তিনি তাঁর উভয় ঠোঁট নড়াতেন।’ ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘আমি তোমাকে দেখানোর জন্য ঠোঁট দুটি নাড়ছি যেভাবে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা নড়াতেন।’ সা‘ঈদ (রহ.) (তাঁর শিষ্যদের) বলেন, ‘আমি ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে যেরূপে তাঁর ঠোঁট দুটি নড়াতে দেখেছি, সেভাবেই আমার ঠোঁট দুটি নড়াচ্ছি।’ এই বলে তিনি তাঁর ঠোঁট দুটি নড়ালেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা‘আলা অবতীর্ণ করলেনঃ “ওয়াহী দ্রুত আয়ত্ত করার জন্য আপনি ওয়াহী নাযিল হওয়ার সময় আপনার জিহ্বা নড়াবেন না” (সূরাহ ক্বিয়ামাহঃ ১৬)। ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, “এর অর্থ হলোঃ তোমার কলবে তা হেফাযত করা এবং তোমার দ্বারা তা পাঠ করানো। “সুতরাং আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন” (সূরাহ কিয়ামাহঃ ১৮)। ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, অর্থাৎ মনোযোগ সহকারে শুন এবং চুপ থাক। “তারপর এর বিশদ বর্ণনার দায়িত্ব তো আমারই” (সূরাহ কিয়ামাহঃ ১৯)।’ অর্থাৎ তুমি তা পাঠ করবে, এটাও আমার দায়িত্ব। তারপর যখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট জিবরাঈল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসতেন, তখন তিনি মনোযোগ সহকারে কেবল শুনতেন। জিবরাঈল (‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চলে গেলে তিনি যেমন পাঠ করেছিলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও তদ্রুপ পাঠ করতেন। (বুখারী পর্ব ১ : /৪ হাঃ ৫, মুসলিম ৪/৩২ হাঃ ৪৪৮)