৪৪/১২.
উম্মুল মু’মিনীন খাদীজাহ (রাঃ)-এর মর্যাদা।
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ১৫৭৮
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ১৫৭৮
حديث عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهَا: أُرِيتُكِ فِي الْمَنَامِ مَرَّتَيْنِ، أَرَى أَنَّكِ فِي سَرَقَةٍ مِنْ حَرِيرٍ، وَيَقُولُ: هذِهِ امْرَأَتكَ، فَاكْشِفْ عَنْهَا فَإِذَا هِيَ أَنْتِ، فَأَقُولُ: إِنْ يَكُ هذَا مِنْ عِنْدِ اللهِ يُمْضِهِ
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ খাদীজাহ্র বোন হালা বিনতে খুয়াইলিদ (একদিন) রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য অনুমতি চাইলেন। (দু’বোনের গলার স্বর ও অনুমতি চাওয়ার ভঙ্গি একই রকম ছিল বলে) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাদীজাহ্র অনুমতি চাওয়ার কথা মনে করে হতচকিত হয়ে পড়েন। তারপর (প্রকৃতিস্থ হয়ে) তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! এতো দেখছি হালা! ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেনঃ এতে আমার ভারী ঈর্ষা হলো। আমি বললাম, কুরাইশদের বুড়ীদের মধ্য থেকে এমন এক বুড়ীর কথা আপনি আলোচনা করেন যার দাঁতের মাড়ির লাল বর্ণটাই শুধু বাকি রয়ে গিয়েছিল, যে শেষ হয়ে গেছেও কত কাল আগে। তার পরিবর্তে আল্লাহ তো আপনাকে তার চেয়েও উত্তম উত্তম স্ত্রী দান করেছেন।* [‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর কথার জবাবে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কী বলেছেন তা উল্লেখ সহীহুল বুখারীতে নেই। তবে হাদীস সংকলক আহ্মাদ ও তারবানী এ প্রসঙ্গে বর্ণনা করেছেন যে, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেনঃ এতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্রুদ্ধ হন। অবশেষে আমি বললামঃ যিনি আপনাকে সত্যের বাহকরূপে পাঠিয়েছেন তাঁর কসম, ভবিষ্যতে আমি তাঁর(খাদীজাহ্র) সম্পর্কে উত্তম মন্তব্য ছাড়া অন্য কোনরূপ মন্তব্য করবো না। (বুখারী পর্ব ৬৩ অধ্যায় ২০ হাদীস নং ৩৮২১; মুসলিম ৪৪/১২, হাঃ নং ২৪৩৭)