পরিচ্ছেদঃ
রাতে উঠে (তাহাজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত
মহান আল্লাহ বলেন,وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَاماً مَحْمُوداً অর্থাৎ, রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম কর; এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বানী ইস্রাঈল ৭৯ আয়াত) তিনি আরো বলেছেন, تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَن المَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَঅর্থাৎ, তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী প্রদান করেছি, তা হতে তারা দান করে। (সূরা সাজদাহ ১৬ আয়াত)তিনি আরো বলেছেন, كَانُوا قَلِيلاً مِنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَঅর্থাৎ, তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করত। (সূরা যারিয়াত ১৭ আয়াত)
হাদিস সম্ভার : ৭৯৪
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৭৯৪
وَعَنْهُ ا قَالَتْ: مَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَزيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً : يُصَلِّي أَرْبَعاً فَلاَ تَسْألْ عَن حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعاً فَلاَ تَسْألْ عَن حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاثاً فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ؟ فَقَالَ يَا عَائِشَة إِنَّ عَيْنَيَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي متفقٌ عَلَيْهِ
উক্ত রাবী (রায্বিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমযান ও অন্যান্য মাসে (তাহাজ্জুদ তথা তারাবীহ) ১১ রাকআতের বেশী পড়তেন না। প্রথমে চার রাকআত পড়তেন। সুতরাং তার সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য সম্পর্কে প্রশ্নই করো না। তারপর (আবার) চার রাকআত পড়তেন। সুতরাং তার সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য সম্বন্ধে প্রশ্নই করো না। অতঃপর তিন রাকআত (বিত্র) পড়তেন। (একদা তিনি বিত্র পড়ার আগেই শুয়ে গেলেন।) আমি বললাম, “হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি বিত্র পড়ার পূর্বেই ঘুমাবেন?” তিনি বললেন, “আয়েশা! আমার চক্ষুদ্বয় ঘুমায়; কিন্তু অন্তর জেগে থাকে।” (বুখারী ১১৪৭, ২০১৩, ৩৫৬৯, মুসলিম ১৭৫৭নং)