পরিচ্ছেদঃ
রাতে উঠে (তাহাজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত
মহান আল্লাহ বলেন,وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَاماً مَحْمُوداً অর্থাৎ, রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম কর; এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বানী ইস্রাঈল ৭৯ আয়াত) তিনি আরো বলেছেন, تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَن المَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَঅর্থাৎ, তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী প্রদান করেছি, তা হতে তারা দান করে। (সূরা সাজদাহ ১৬ আয়াত)তিনি আরো বলেছেন, كَانُوا قَلِيلاً مِنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَঅর্থাৎ, তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করত। (সূরা যারিয়াত ১৭ আয়াত)
হাদিস সম্ভার : ৭৯৩
হাদিস সম্ভারহাদিস নম্বর ৭৯৩
وَعَن عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم كَانَ يُصَلِِّي إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً ـ تَعَني فِي اللَّيلِ يَسْجُدُ السَّجْدَةَ مِنْ ذَلِكَ قَدْرَ مَا يَقْرَأُ أَحَدُكُمْ خَمْسِينَ آيَةً قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ رَأسَهُ وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الفَجْرِ ثُمَّ يَضْطَجِعُ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ حَتَّى يَأتِيَهُ المُنَادِي للصَلاَةِ رواه البخاري
আয়েশা (রায্বিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিতঃ
‘রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এগার রাকআত নামায পড়তেন, অর্থাৎ, রাতে। তিনি মাথা তোলার পূর্বে এত দীর্ঘ সাজদাহ করতেন যে, ততক্ষণে তোমাদের কেউ পঞ্চাশ আয়াত পড়তে পারবে। আর ফরয নামাযের পূর্বে দু’ রাকআত সুন্নত নামায পড়ে ডান পার্শ্বে শুয়ে আরাম করতেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর নিকট নামাযের ঘোষণাকারী এসে হাযির হত।’ (বুখারী ১১২৩নং)