পরিচ্ছেদঃ

১ থেকে ১০০ নং হাদিস

জাল জয়িফ হাদিস সিরিজহাদিস নম্বর ৮৫

বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ

তোমাদের সংরক্ষিত সম্পদের নিকট তিনজনকে হত্যা করা হবে। তারা প্রত্যেকে খলীফার পুত্র। অতঃপর তা তাদের মধ্যের একজনের জন্যও হবে না। অতঃপর প্রাচ্যের দিক থেকে এক বিরাট দলের ঝাণ্ডা প্রকাশ পাবে। তারা তোমাদের এমন ভাবে হত্যা করবে, যেরূপ হত্যাযজ্ঞের সম্মুখীন কোন জাতি হয়নি। অতঃপর তিনি কিছু উল্লেখ করলেন তা আমি হেফয করতে পারিনি। তারপর তিনি বললেঃ তোমরা যদি দেখতে পাও তাহলে তার সাথে বাই’য়াত করবে। যদিও বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়েও তা করতে হয়। কারণ তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ্‌র প্রতিনিধি মাহদী।অন্য এক বর্ণনায় এসেছেঃ তোমরা বড় দলের ঝাণ্ডাগুলো দেখতে পাবে খুরাসানের দিক থেকে বের হয়েছে। তখন তোমরা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তার নিকট আসবে।হাদীসটি মুনকার।ইবনু মাজাহ (৫১৮-৫১৯), হাকিম (৪/৪৬৩-৪৬৪) দু’টি সূত্রে খালেদ আল-হাযা সূত্রে আবূ কিলাবা হতে...হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এছাড়া ইমাম আহমাদ (৫/২৭৭) ‘আলী ইবনু যায়েদ সূত্রে এবং হাকিম আব্দুল ওয়াহাব সূত্রে...তার থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবনুল জাওযী “আল-আহাদীসুল ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে (১৪৪৫) সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন।ইবনু হাজার “আল-কাওলুল মুসাদ্দাদ...” গ্রন্থে বলেনঃ ‘আলী ইবনু যায়েদ দুর্বল।মানাবীও “ফায়যুল কাদীর” গ্রন্থে একই কারণ দর্শিয়েছেন। তিনি বলেনঃ “আল-মীযান” গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আহমাদ ও অন্যরা তাকে দুর্বল (য’ঈফ) আখ্যা দিয়েছেন। অতঃপর যাহাবী বলেনঃ (আরবী) আমি এ হাদীসটিকে মুনকারই মনে করি।ইবনুল জাওযী হাদীসটিকে তার “মাওযূ’আত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার বলেনঃজাল হাদীস গ্রন্থে উল্লেখ করাটা সঠিক হয়নি। কারণ এ হাদিসের সনদে এমন কোন ব্যক্তি নেই যাকে মিথ্যার দোষে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।তবে ইবনুল জাওযী তার জাল হাদীস গ্রন্থে (২/৩৯) যে সনদে উল্লেখ করেছেন, সে সনদের দিকে লক্ষ্য করলে, তার জাল হিসেবে উল্লেখ করাটা সঠিক হয়েছে। অতঃপর ইবনুল জাওযী বলেনঃ এটির ভিত্তি নেই। আম্‌র কিছুই না। তিনি হাসান হতে শুনেননি এবং হাসান আবূ ওবায়দা হতে শুনেননি।আমি (আলবানী) বলছিঃ আবূ ওবায়দা তার পিতা ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতেও শুনেননি।সুয়ূতী তার সমালোচনা করে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/৪৩৭) বলেনঃতার ইসনাদ সহীহ্‌। হাকিম শাইখায়নের শর্তানুযায়ী সহীহ্ বলেছেন এবং যাহাবী তার কথাকে সমর্থন করেছেন। অথচ যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেছেনঃ আমি হাদীসটিকে মুনকার হিসাবেই দেখছি।মুনকার হওয়াটাই সঠিক। তিনি এটিকে সহীহ্‌ বলেছেন মুনকার হওয়ার কারণ ভুলে যাওয়ায়। সেটি হচ্ছে আবূ কিলাবার আন্ আন্ সূত্রে বর্ণনা করা। কেননা তিনি মুদাল্লিসদের অন্তর্ভুক্ত, যেমনটি উল্লেখ করেছেন যাহাবী ও অন্যরা। এ জন্যই ইবনু ওলাইয়্যাহ হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন যেমনভাবে ইমাম আহমাদ “আল-ইলাল” গ্রন্থে (১/৩৫৬) ইবনু ওলাইয়্যাহ হতে তা বর্ণনা করে তাকে সমর্থন করেছেন।তবে (আরবী) ‘কারণ তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ্‌র প্রতিনিধি মাহদী’ এ অংশটুকু বাদ দিয়ে হাদীসটির অর্থ সঠিক। কারণ এ অংশটুকু সাব্যস্ত করার মত কোন বিশুদ্ধ সূত্র নেই। আবূ বাকরকে (রাঃ) খালীফাতুল্লাহ বলে সম্বোধন করা হলে তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহ্‌র খলীফা নই বরং আমি রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর খলীফা। এটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমাদ তাঁর মুসনাদ গ্রন্থে। আল্লাহ্‌ অন্যের খালীফা হন, কেউ তাঁর খালীফা হতে পারেন না।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন