পরিচ্ছেদঃ
১ থেকে ১০০ নং হাদিস
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজ : ২১
জাল জয়িফ হাদিস সিরিজহাদিস নম্বর ২১
বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ
আমার অবস্থা সম্পর্কে তাঁর জ্ঞাত হওয়া আমার চাওয়ার জন্য যথেষ্ট।এটির কোন ভিত্তি নেই।কেউ কেউ এটিকে ইব্রাহীম (আঃ)-এর বাণী বলেছেন। যখন তাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, তখন জিবরীল (আঃ) তাকে তার প্রয়োজনীয়তার কথা জিজ্ঞাসা করেন। সে সময় তিনি এ কথা দ্বারা তার উত্তর দিয়েছিলেন। এটি ইসরাইলী বর্ণনা। মারফূ’ হিসাবে এর কোন সনদ মিলে না। বাগাবী সূরা আম্বিয়ার তাফসীরের মধ্যে উল্লেখ করে দুর্বল বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।এছাড়া এটি কুরআন এবং সহীহ হাদীস পরিপন্থী। কারণ কুরআন এবং সহীহ হাদীসে আল্লাহকে ডাকা ও তাঁর কাছে চাওয়ার ব্যাপারে বহু তাগিদ এসেছে। এছাড়া দোয়ার ফযীলতও বর্ণনা করা হয়েছে। ইব্রাহীম (আঃ) নিজে আল্লাহর নিকট প্রার্থনাও করেছেন।ইব্রাহীম (আঃ) বলেনঃ {আরবী}সূরা ইব্রাহীম-এর ৩৭ নং আয়াত হতে ৪১ নং পর্যন্ত সবই দো’আ। এছাড়া কুরআন এবং সুন্নতের মধ্যে নাবীগনের অগণিত দো’আ এসেছে। আল্লাহ্ বলেছেনঃ ‘তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব...’। (সূরা গাফেরঃ ৬০)রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ দো’আই হচ্ছে ইবাদাত। সহীহ আবী দাউদ (১৩২৯)। হাদীসটি সুনান রচনাকারীগণ বর্ণনা করেছেন।এমনকি রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ডাকে না আল্লাহ্ তাঁর উপর রাগান্বিত হন।’ এ হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করে ১/৪৯১ সহীহ আখ্যা দিয়েছেন আর যাহাবী তার কথাকে সমর্থন করেছেন। আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি হাসান।আলোচ্য হাদীসটি ইবনু ইরাক “তানযীহুশ-শারী’য়াতিল মারফূ’য়াহ আনিল আখবারিশ-শানী’য়াতিল মাওযূ’আহ” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেন (১/২৫০ ) ইবনু তাইমিয়্যা বলেছেনঃ হাদীসটি বানোয়াট।