পরিচ্ছেদ ০৫.
উমরা এবং রুকবা প্রসঙ্গ [১০০৪]
বুলুগুল মারাম : ৯৩৩
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৯৩৩
وَعَنْ جَابِرٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -: «الْعُمْرَى لِمَنْ وُهِبَتْ لَهُ» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ وَلِمُسْلِمٍ: «أَمْسِكُوا عَلَيْكُمْ أَمْوَالَكُمْ وَلَا تُفْسِدُوهَا، فَإِنَّهُ مَنْ أَعْمَرَ عُمْرَى فَهِيَ لِلَّذِي أُعْمِرَهَا حَياً وَمَيِّتًا، وَلِعَقِبِهِ» وَفِي لَفْظٍ: إِنَّمَا الْعُمْرَى الَّتِي أَجَازَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَنْ يَقُولَ: هِيَ لَكَ وَلِعَقِبِكَ، فَأَمَّا إِذَا قَالَ: هِيَ لَكَ مَا عِشْتَ، فَإِنَّهَا تَرْجِعُ إِلَى صَاحِبِهَا وَلِأَبِي دَاوُدَ وَالنَّسَائِيِّ: «لَا تُرْقِبُوا، وَلَا تُعْمِرُوا، فَمَنْ أُرْقِبَ شَيْئًا أَوْ أُعْمِرَ شَيْئًا فَهُوَ لِوَرَثَتِهِ»
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, উমরী বা আজীবন দান তার জন্য সাব্যস্ত হবে যার জন্য তা হেবা করা হয়েছে । [১০০৫]মুসলিমে আছে- তোমাদের মাল তোমাদের জন্য রাখ, তা নষ্ট করে ফেল না । যদি কেউ কাউকে জীবনতক দান করে তাহলে এ দান তার জীবন ও মরণতকই হবে, আর তার মৃত্যুর পর তার সন্তানগণের হবে ।অন্য শব্দে এরূপ এসেছে- নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৈধ বলেছেন ঐ উমরী দান যাতে হিবাকারী বলবে যে, এ দান তোমার জন্য ও তোমার সন্তানদের (ওয়ারিসদের) জন্যও । কিন্তু যদি বলে এ দান তোমার জীবনতক মাত্র । তাহলে ঐ দান সিদ্ধ না হয়ে মালিকেরই থেকে যাবে । [১০০৬]আবু দাউদে ও নাসায়ীতে আছে- তোমরা রুকবা ও উমরা করবে না । যে কিছু রুকবা বা উমরা করবে তাহলে তা তার ওয়ারিসদের জন্যও হবে । [১০০৭]
[১০০৫] বুখারীর বর্ণনায় রয়েছে, জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উমরাহ (বস্তু) সম্পর্কে ফায়সালা দিয়েছেন যে, যাকে দান করা হয়েছে, সে-ই সেটার মালিক হবে ।[১০০৬] মুসলিমের বর্ণনায় আরো রয়েছে , মা’মার (রঃ) বলেন, ইমাম যুহরী (রঃ) এর উপরই ফতোয়া দান করতেন ।[১০০৭] বুখারী ২৬২৫, মুসলিম ১৬২৫, তিরমিযী ১৩৫০, ১৩৫১, নাসায়ী ৩৭২৭, ৩৭৩১, ৩৭৩৬ ।