পরিচ্ছেদ ০১.

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হজ্বের বর্ণনা

বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৭৪২

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - حَجَّ، فَخَرَجْنَا مَعَهُ، حَتَّى أَتَيْنَا ذَا الْحُلَيْفَةِ، فَوَلَدَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ، فَقَالَ: «اغْتَسِلِي وَاسْتَثْفِرِي بِثَوْبٍ، وَأَحْرِمِي».وَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فِي الْمَسْجِدِ، ثُمَّ رَكِبَ الْقَصْوَاءَ حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ بِالتَّوْحِيدِ: «لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ»، حَتَّى إِذَا أَتَيْنَا الْبَيْتَ اسْتَلَمَ الرُّكْنَ، فَرَمَلَ ثَلَاثًا وَمَشَى أَرْبَعًا، ثُمَّ أَتَى مَقَامَ إِبْرَاهِيمَ فَصَلَّى، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الرُّكْنِ فَاسْتَلَمَهُ.ثُمَّ خَرَجَ مِنَ الْبَابِ إِلَى الصَّفَا، فَلَمَّا دَنَا مِنَ الصَّفَا قَرَأَ: {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ} «أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ» فَرَقِيَ الصَّفَا، حَتَّى رَأَى الْبَيْتَ، فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَوَحَّدَ اللَّهَ وَكَبَّرَهُ، وَقَالَ: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ»، ثُمَّ دَعَا بَيْنَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ نَزَلَ إِلَى الْمَرْوَةِ، حَتَّى انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ فِي بَطْنِ الْوَادِي، حَتَّى إِذَا صَعِدَ مَشَى إِلَى الْمَرْوَةِ، فَفَعَلَ عَلَى الْمَرْوَةِ كَمَا فَعَلَ عَلَى الصَّفَا ... - فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. وَفِيهِ: فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ تَوَجَّهُوا إِلَى مِنَى، وَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فَصَلَّى بِهَا الظُّهْرَ، وَالْعَصْرَ، وَالْمَغْرِبَ، وَالْعِشَاءَ، وَالْفَجْرَ، ثُمَّ مَكَثَ قَلِيلاً حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ، فَأَجَازَ حَتَّى أَتَى عَرَفَةَ، فَوَجَدَ الْقُبَّةَ قَدْ ضُرِبَتْ لَهُ بِنَمِرَةَ فَنَزَلَ بِهَا، حَتَّى إِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِالْقَصْوَاءِ، فَرُحِلَتْ لَهُ، فَأَتَى بَطْنَ الْوَادِي، فَخَطَبَ النَّاسَ.ثُمَّ أَذَّنَ ثُمَّ أَقَامَ، فَصَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ، وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا شَيْئًا.ثُمَّ رَكِبَ حَتَّى أَتَى الْمَوْقِفَ، فَجَعَلَ بَطْنَ نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءِ إِلَى الصَّخَرَاتِ، وَجَعَلَ حَبْلَ الْمُشَاةِ بَيْنَ يَدَيْهِ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ، فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفاً حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ، وَذَهَبَتِ الصُّفْرَةُ قَلِيلاً، حَتَّى غَابَ الْقُرْصُ، وَدَفَعَ، وَقَدْ شَنَقَ لِلْقَصْوَاءِ الزِّمَامَ حَتَّى إِنَّ رَأْسَهَا لَيُصِيبُ مَوْرِكَ رَحْلِهِ ، وَيَقُولُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى: «أَيُّهَا النَّاسُ، السَّكِينَةَ، السَّكِينَةَ»، كُلَّمَا أَتَى حَبْلاً أَرْخَى لَهَا قَلِيلاً حَتَّى تَصْعَدَ.حَتَّى أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ، فَصَلَّى بِهَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ، بِأَذَانٍ وَاحِدٍ وَإِقَامَتَيْنِ، وَلَمْ يُسَبِّحْ بَيْنَهُمَا شَيْئًا، ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتَّى طَلَعَ الْفَجْرُ، فَصَلَّى الْفَجْرَ، حِينَ تَبَيَّنَ لَهُ الصُّبْحُ بِأَذَانٍ وَإِقَامَةٍ.ثُمَّ رَكِبَ حَتَّى أَتَى الْمَشْعَرَ الْحَرَامَ، فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ، فَدَعَا، وَكَبَّرَ، وَهَلَّلَ فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتَّى أَسْفَرَ جِدًّا.فَدَفَعَ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ، حَتَّى أَتَى بَطْنَ مُحَسِّرَ فَحَرَّكَ قَلِيلاً، ثُمَّ سَلَكَ الطَّرِيقَ الْوُسْطَى الَّتِي تَخْرُجُ عَلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى، حَتَّى أَتَى الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ

জাবির বিন আবদুল্লাহ হতে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজ্জ (যাত্রা) করেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে হাজ্জ ব্রত পালনে বের হই। তারপর আমরা ‘যুলহুলাইফাহ’ নামক স্থানে এলাম। এখানে আসার পর আসমা বিনতু উমাইস (আবূ বাকর (রাঃ)-এর স্ত্রী) সন্তান প্রসব করলেন। ফলে নাবী তাঁকে বললেন গোসল কর, কাপড়কে লেঙ্গুটার মত পরিধান কর আর হাজের ইহরাম বাঁধো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে সলাত সমাধান করে তাঁর কাসওয়া নামী উটনীতে আরোহণ করলেন। উটটি যখন তাঁকে নিয়ে ‘বাইদাহ’ বরাবর পৌঁছল তখন তিনি তাওহীদ বাণী ঘোষণা (তালবিয়াহ পাঠ) করতে লাগলেনঃ উচ্চারণঃ লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি’মাতা, লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাকা। অর্থঃ আমি তোমার খেদমতে হাজির হয়েছি, ইয়া আল্লাহ, আমি তোমার খেদমতে হাযির হয়েছি। আমি তোমার খিদমাতে হাযির হয়েছি, তোমার কোন শরীক নেই। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা, নেয়ামত ও রাজত্ব তোমারই। তোমার কোন শরীক নেই। এভাবেই আমরা চলতে চলতে বায়তুল্লায় পৌঁছে গেলাম, তিনি হাজারে আসওয়াদে চুম্বন দিলেন, তারপর তিনবার রামল করলেন এবং চার বার সাধারণ গতিতে চললেন। তারপর মাকামে ইবরাহীমের নিকট এসে সলাত আদায় করলেন। পুনরায় রুকনে (হাজারে আসওয়াদে) ফিরে গিয়ে তাতে চুম্বন করলেন। তারপর দরজা দিয়ে বের হয়ে 'সাফা’ পাহাড়ের দিকে বের হলেন। তারপর সাফার কাছাকাছি পৌঁছে পাঠ করলেনঃ ‘নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম।’ তারপর বললেন- আল্লাহ যেখান থেকে প্রথমে শুরু করেছেন আমিও সেখান থেকেই শুরু করছি। এ বলে তিনি সাফা পাহাড়ে উঠলেন যেখান থেকে তিনি বায়তুল্লাহ দেখতে পেলেন- কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর তাওহীদের ঘোষণা দিলেন ও তাকবীর পাঠ করলেন অতঃপর বললেনঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহূ লা শারীকা লাহু। লাহুল মুলক ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহূ, আযাযা ওয়া’দাহূ, ওয়া নাসারা আব্‌দাহূ, ওয়া হযামাল আযহাবা ওয়াহদাহু। অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই, তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর এবং প্রশংসা তাঁর, তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই, তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন, তিনি তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেন। তিনি একাই ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করেন। অতঃপর তিনি তার মধ্যে প্রার্থনা বা দুআ করলেন তিনবার। তারপর তিনি সাফা পাহাড় থেকে ‘মারওয়া’ পাহাড়ের উদ্দেশ্যে নামলেন এবং যখন বাতনে ওয়াদিতে (দুই সবুজ বাতির মধ্যবর্তী স্থান) গিয়ে পা দুটি রাখলেন তখন তিনি মৃদু দৌড়ালেন। উপরে উঠে যাওয়ার পর মারওয়া পর্যন্ত সাধারণভাবে চললেন। এবং সাফার ন্যায়ই সবকিছু ‘মারওয়াতে’ও করলেন। এখানে জাবির (রাঃ) পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাতে এরূপও আছে, যখন তারবিয়া দিবস (৮ই যিলহিজ্জা) আসলো, তিনি সওয়ারীতে চড়ে ‘মিনা’ অভিমুখী হলেন এবং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে যুহর, ‘আসর, মাগরিব, ইশা ও ফাজরের সলাত আদায় করলেন। তারপর অল্প কিছুকাল অবস্থান করলেন যতক্ষণে সূর্যোদয় হল। তারপর (মুযদালিফাহ) অতিক্রম করে আরাফাহ পর্যন্ত আসলেন। দেখলেন তার জন্য পূর্ব থেকেই নামিরাহ [৭৮৯] (বর্তমান মাসজিদে নামিরাহ) নামক স্থানে একটি তাঁবু পেলেন। তিনি তাতে স্থান নিলেন। তারপর যখন সূর্য ঢলে পড়ল, তাঁর কাসওয়া নাম্নী উটনীকে তৈরি করার আদেশ করলেন, তার উপর পালান বসান হল তারপর তিনি বাতনে ওয়াদী-তে পৌঁছে গেলেন। এখানে জনগণের উদ্দেশ্যে খুতবাহ প্রদান করলেন। তারপর আযান ও ইকামাত দেয়ালেন ও যুহরের সলাত আদায় করলেন। তারপর সেখানেই আসরের সময় হলে আসরের আযান, ইকামাত দেয়ালেন ও আসরের সলাত আদায় করলেন। এ দুই সলাতের মধ্যে আর কোন সলাত আদায় করেননি, তারপর সওয়ার হয়ে মাওকেফে (অবস্থানক্ষেত্রে) এলেন তার উটনী কাসওয়ার পেট সাখরাতের দিকে এবং পথিকের চলার পথকে তাঁর সম্মুখে রেখে কিবলামুখী হয়ে সূর্যস্ত পর্যন্ত অবস্থান করলেন। হলুদ রং কিছু কেটে গেল, সূর্যের গোলাই ভালভাবে ডুবে গেল, (তখন) তিনি এমন অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করলেন যে, কাসওয়ার লাগাম এমনভাবে টেনে ধরা হয়েছিল যে, তার মাথা নাবীর পালানের ‘মাওরিকে’ এসে ঠেকে যাচ্ছিল। এবং তিনি ডান হাতে ইশারা করে ঘোষণা করছিলেন-হে জনগণ ধীর ও শান্ত থাকুন। যখনই কোন পাহাড়ের কাছাকাছি এসে যাচ্ছিলেন কাসওয়ার লাগাম কিছুটা ঢিল দিচ্ছিলেন, যেন সে উপরে উঠতে পারে। অবশেষে মুযদালিফাহ এসে পৌঁছলেন এবং সেখানে একটি আযান ও দুটি ইকামাতে মাগরিব ও ইশা উভয় সলাত সম্পদান করলেন। এ দুই সলাতের মধ্যবর্তী সময়ে অন্য কোন নফল সলাত আদায় করেননি। তারপর ফাজর উদিত হওয়া পর্যন্ত শুয়ে থাকলেন। তারপর ফাজর সুস্পষ্ট (সুবহি সাদিক) হয়ে গেলে আযান ও ইকামাত দিয়ে ফাজরের সলাত আদায় করলেন। তার পর সওয়ার হয়ে মাশ'আরুল হারাম পর্যন্ত এলেন। তারপর কিবলামুখী হয়ে দু’আ করলেন, তাকবীর ও তাহলীল ঘোষণাসহ-আকাশ বেশ ফর্সা হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করলেন। তারপর সূর্যদয়ের পূর্বেই বাতনে মুহাসসিরে আসলেন। এখানে সওয়ারীকে একটু জোরে চালালেন। তারপর মাঝামাঝি পথটি ধরে চললেন যেটি জামরাতুল কুবরা বরাবর বেরিয়ে গেছে। তারপর এসে পৌঁছলেন গাছের নিকটস্থ জামরার নিকট এবং বাতনে ওয়াদী হতে সাতবার কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন এবং প্রত্যেক বার নিক্ষেপের সময় "আল্লাহু আকবার” ধ্বনি করলেন। তারপর কুরবানীর মাঠে এসে কুরবানী করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটে সওয়ার হয়ে বাইতুল্লাহ পৌঁছলেন (তাওয়াফে ইফাযাহ সম্পন্ন করার জন্য) ও মক্কায় যুহরের সলাত আদায় করলেন। মুসলিম সুদীর্ঘভাবে। [৭৯০]

[৭৮৯] আরাফার পার্শ্ববর্তী একটি স্থান। আরাফার কোন স্থান নয়।[৭৯০] মুসলিম ১২১৬, ১২১৮, বুখারী ১৫১৬, ১৫৬৮, ১৬৫১, ১৭৮৫, তিরমিয়ী ৮৫৬, ৮৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, নাসায়ী ২৯১, ৪২৯, ৬০৪, আবূ দাঊদ ১৭৮৭, ১৭৮৮, ১৭৮৯ ইবনু মাজাহ ২৯১৩, ২৯১৯, ২৯৫১, আহমাদ ১৩৮০৬, ১৩৮২৬, ১৩৮৬৭, মালিক ৮১৬, ৮৩৫, ৮৩৬, দারেমী ১৮৫০, ১৮৯৯।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন