পরিচ্ছেদ ১১৪.
সাজদায় গমনের পদ্ধতি
বুলুগুল মারাম : ৩১১
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৩১১
رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - إِذَا سَجَدَ وَضَعَ رُكْبَتَيْهِ قَبْلَ يَدَيْهِ. أَخْرَجَهُ الْأَرْبَعَ
বর্ণনাকারী হতে বর্ণিতঃ
উক্ত হাদীসে আছেঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সাজদাহর সময় তাঁর দু’হাতের পূর্বে দু' হাঁটু মাটিতে রাখতে দেখেছি। প্রথম হাদীসটি অধিক শক্তিশালী কারণ, ইবনু উমর (রাঃ) হাদীসে উক্ত হাদীসের শাহিদ (অনুরূপ) [৩৪৮]
৩৪৮. ইবনু মাজহ ৮৮২, তিরমিয়ী ২৬৮, নাসায়ী ১০৮৯, ১১৫৪, আবু দাউদ ৮৩৮, দারেমী ১৩২০আলবানী ৮৩৮, নাসায়ী ১০৮৯, তিরমিয়ী ১৬৮, ইরওয়াউল গালীল ৩৫৭ গ্রন্থসমূহে হাদীটিকে দুর্বল আখ্যায়িত করেছেন। আত-তালখীসুল হাবীর (৪১৩) গ্রন্থে ইবনু হাজার বলেন, হাদীসটি শরীফ এক ভাবে বর্ননা করেছেন। এই হাদীসের শাহিদ রয়েছে।আওনুল মাদ (৩/৪২) গ্রন্থে আযীমা বাদী বলেন, এই হাদীসের সনদে ইবনু আদিল্লাহ আন নাখয়ী রয়েছে আর তার ব্যাপারে সমালোচনা করা হয়েছে। কোন কোন বর্ননায় "তিনি যখন দাড়াতেন তখন হাঁটুর উপর দাঁড়াতেন, এবং ভর করতেন রানের উপর" এই অতিরিক্ত বর্ণনাটি যয়ীফ। ইবনু বাযের মাজমুয়া ফাত্তয়া (৬১/১১,৩৩/১১) গ্রন্থে হাত রাখার পূর্বে হাটু রাখা প্রমাণিত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি তার অপর গ্রন্থে ফাতওয়ানুর আলাদ দার (৮/২৮৬) গ্রন্থে হাদীসটিকে হাসান বলে উল্লেখ করেছেন। ইরওয়াউল গালীল (২/৭৭) গ্রন্থে আলবানী হাদীসটিকে মুনকার বলেছেন। তুহফাতুল আহওয়াযী (২/১৩) গ্রন্থে আব্দুর রহমান মোবারকপুরী হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন এবং ইবনু রজব হাদীসটিকে মুরসাল ও মুনকাতি বলেছেন। তবে, হাটুর পূর্বে হাত রাখার হাদীসকে মুহাদ্দীসগন সহীহ বা হাসান বলে অভিহিত করেছেন। জামেউস স্বাগীর লিস সুয়ূতী (৬৭৩) আওনুল মা'বূদ ৩/৪৩, আল মাহাল্লী ৪/১২৯