পরিচ্ছেদ ৯৫.
বিসমিল্লাহ সূরা ফাতেহার আয়াতের অন্তর্ভুক্ত
বুলুগুল মারাম : ২৮২
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ২৮২
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -: «إِذَا قَرَأْتُمُ الْفَاتِحَةَ فَاقْرَءُوا: {بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ}، فَإِنَّهَا إِحْدَى آيَاتِهَا» رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيُّ وَصَوَّبَ وَقْفَهُ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন- তোমরা সূরা ফাতিহা পাঠের সময় ‘বিস্মিল্লাহির রহমানির রহীম’ পাঠ করবে। কেননা ওটা তারই একটা আয়াত। দারাকুৎনী হাদীসটির মওকুফ হওয়াকে সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন। [৩১৯]
[৩১৯] দারাকুতনী মারফু’ ও মাওকূফরূপে ২/৩১২, তোমরা যখন সূরা ফাতিহা পড়বে তখন তোমরা বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পড়বে। কেননা, সেটি হচ্ছে উম্মুল কুরআন, উম্মুল কিতাব, সাবআ মাসানী। আর বিসমিল্লাহ তারই একটি। তিনি ইলাম গ্রন্থে মাওকূফ সূত্রে (৮/১৪৯) বলেনঃ এটি হকের অধিক সম্ভাবনা রাখে। ইবনু হাজার আসকালানী তাঁর আত-তালখীসুল হাবীর (১/৩৮১) গ্রন্থে বলেন, এ সনদের রাবীগণ বিশ্বস্ত। অনেক ইমাম এ হাদীসটিকে মারফূ’ হওয়ার চেয়ে মাওকূফ হওয়াটাকেই সহীহ বলেছেন। এর শাহেদ রয়েছে যা এটিকে শক্তিশালী করে। ইবনু উসাইমিন শারহু বুলুগুল মারামে (২/৭৬) উল্লেখ করেন এটা মাওকুফ আবূ হুরায়রা পর্যন্ত। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে সহীহভাবে প্রমানিত হয়নি। আলবানী সহীহুল জামে (৭২৯) গ্রন্থে, সহীহ সিলসিল সহীহা (১১৮৩) এর সনদকে মাওকুফ ও মারফু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইতহাফুল মাহরা বিল ফারায়িদ আল মুবাক্কারা মিন আতরাফিল আশারা (১৪/৬৬৪) গ্রন্থে ইবনু হাজার বলেন এই হাদীসে আব্দুল হামীদ বিন জা’ফার সত্যবাদী, তবে তার ব্যাপারে সমালোচনা করা হয়েছে। সঠিক কথা হলো হাদীসটি মাওকুফ। ইবনুল মুলকিন খুলাসা আল বাদরুল মুনীর (১/১১৯) ও আল বাদরুল মুনীর (৩/৫৫৮) গ্রন্থে এর সনদে সহীহ বলেছেন। ইমাম যাহাবী তাঁর তাকীহুত তাহকীক (১/১৪৪) গ্রন্থে বলেন, যদি সহীহ হয় তাহলে তা মাওকূফ হিসেবেই সহীহ।