পরিচ্ছেদ ৬৪.
সলাতে কংকর সরানোর বিধান
বুলুগুল মারাম : ২৪১
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ২৪১
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلَا يَمْسَحِ الْحَصَى، فَإِنَّ الرَّحْمَةَ تُوَاجِهُهُ» رَوَاهُ الْخَمْسَةُ بِإِسْنَادٍ صَحِيحٍ وَزَادَ أَحْمَدُ: «وَاحِدَةً أَوْ دَعْ»
আবূ যার গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সলাতে দাঁড়িয়ে কেউ যেন সামনের কঙ্কর অপসারণ না করে। কেননা, সলাত আদায়কারী ব্যক্তির সম্মুখে আল্লাহ্র রহমত সমাগত হয়। সহীহ্ সানাদ সহকারে ৫ জনে [২৭৬] আহমাদ অতিরিক্ত শব্দ বৃদ্ধি করেছেনঃ “একবার কর নাহলে বিরত থাকবে।” [২৭৭]
[২৭৬] যঈফ। আবূ দাঊদ (৯৪৫; নাসায়ী ৩/৬; তিরমিযী ৩৭৯; ইবনু মাজাহ ১০৯৭; আহমাদ ৫/১৫০, ১৬৩, ১৭৯ হাদীসটিকে আবিল আহওয়াস সূত্রে আবূ যার্ হতে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। মুহাক্কিক সুমাইর আয-যুহাইরি বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেনঃ কক্ষনো না। কেননা, আবিল আহওয়াসের অবস্থা জানা যায় না। যেমনটি বলেছেন ইবনুল কাত্তান। হাফিয (রহঃ) এর কথা আশ্চর্যজনক। তিনি এখানে সনদ সহীহ হওয়ার দিক থেকে কোন উক্তিকে বিশুদ্ধ বলেছেন। তিনি তাঁর তাকরীবে কখনো আবিল আহওয়াস থেকে বর্ণিত হাদীসকে (আরবী) গ্রহণযোগ্য বলেছেন। অর্থাৎ যখন তার অনুগামী হাদীস পাওয়া যাবে। নচেৎ তা দুর্বল বলে বিবেচিত হবে। আমি বলিঃ এ হাদীসের মধ্যে আরেকটি ত্রুটি আছে। সুতরাং হাদীসটি সর্বাবস্থায় দুর্বল। [২৭৭] আহমাদ ৫/১৬৩। হাদীসের মধ্যে ইবনু আবূ লায়লা নামক একজন রাবী আছেন, যিনি স্মরণশক্তির দিক থেকে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এ হাদীসটি মুখস্ত রেখেছেন। পরবর্তী হাদীস এর প্রমাণ বহন করে। তুহফাতুল আওয়াযী (২/১৯৩) গ্রন্থে আব্দুর রহমান মুবারকপুরী বলেন, এই হাদীসের রাবী আবুল আহওয়াস সম্পর্কে মুনযীরী বলেন, এ নামে তিনি কাউকে চেনেন না ইয়াহইয়া বিন মুঈন তার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। ইবনু হাজার তাকে মাকবূল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সহীহ ইবনু খুযাইমাহ (৯১৩) গ্রন্থে আবুল আহওয়াসকে আলবানী মাজহুল বলে আখ্যায়িত করেছেন। তামামুল মিন্নাহ (৩১৩) গ্রন্থেও আলবানী অনুরূপ বলেছেন। তবে আত-তামহীদ (২৪/১১৬) গ্রন্থে ইবনু আব্দুল বার হাদীসটিকে মারফূ ‘সহীহ মারফু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইমাম সুয়ূতী আল জামিউস সগীর গ্রন্থে ও ইমাম নববী আল খুলাসা (১/৪৮৫) গ্রন্থে হাদীসটিকে হাসান বলে উল্লেখ করেছেন। অনুরূপভাবে বিন বায মাজমুয়া ফাতাওয়া (১১/২৬৫) গ্রন্থে, আহমাদ শাকের শরহু সুনানু তিরমিযী (২/২১৯) গ্রন্থে হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।