পরিচ্ছেদ ০২.
কখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরয সলাত আদায় করতেন তার বিবরণ
বুলুগুল মারাম : ১৫৪
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ১৫৪
وَعَنْ أَبِي بَرْزَةَ الْأَسْلَمِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يُصَلِّي الْعَصْرَ, ثُمَّ يَرْجِعُ أَحَدُنَا إِلَى رَحْلِهِ فِي أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ, وَكَانَ يَسْتَحِبُّ أَنْ يُؤَخِّرَ مِنَ الْعِشَاءِ, وَكَانَ يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَهَا، وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا, وَكَانَ يَنْفَتِلُ مِنْ صَلَاةِ الْغَدَاةِ حِينَ يَعْرِفُ الرَّجُلُ جَلِيسَهُ, وَيَقْرَأُ بِالسِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আবূ বার্যাহ আল-আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আসরের সলাত আদায় করতেন তার পর আমাদের কোন ব্যক্তি রওয়ানা হয়ে মদীনার দূর প্রান্তের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পরও সূর্য জীবিত তথা সূর্যের উজ্জ্বলতা বাকী থাকতো। আর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইশার সলাত দেরিতে আদায় করা পছন্দ করতেন এবং ‘ইশা সলাতের পূর্বে ঘুমান ও পরে কথাবার্তা বলাকে অপছন্দ করতেন। আর তিনি ফাজ্রের সলাত আদায় করে এমন সময় ফিরতেন যখন লোক তার পাশে বসে থাকা সঙ্গীকে চিনতে পারত। আর ষাট আয়াত থেকে একশো আয়াত তিলাওয়াত করতেন। [১৮১]
[১৮১] বুখারী ৫৪৭; মুসলিম ৬৪৭। শব্দ বিন্যাস বুখারীর। এখানে (আরবী) শব্দটির র (আরবী) অক্ষরে যাবার হা (আরবী) অক্ষরে সাকিন সহ পড়তে হবে। (আরবী) অর্থাৎ স্বচ্ছ পরিস্কার সাদা যেমন পূর্ববর্তী বর্ণনায় রয়েছে। আর একজন তাবেয়ী হতে তার এ কথাটি সহীহ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে (আরবী) সূর্য জীবিত থাকার অর্থ হচ্ছে সূর্যে উত্তাপ পাওয়া।