পরিচ্ছেদ ১৭.
জবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ না বললে
বুলুগুল মারাম : ১৩৪৫
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ১৩৪৫
وَلَهُ شَاهِدٌ عِنْدَ أَبِي دَاوُدَ فِي «مَرَاسِيلِهِ» بِلَفْظِ: «ذَبِيحَةُ الْمُسْلِمِ حَلَالٌ، ذَكَرَ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهَا أَوْ لَمْ يَذْكُرْ» وَرِجَالُهُ مُوَثَّقُونَ
ইমাম আবূ দাঊদের মারাসিল হতে বর্ণিতঃ
গ্রন্থে এর একটা শাহিদ (সম অর্থবাহী) হাদীস রয়েছে-তাতে আছে, মুসলিমের যবাহ্কৃত জন্তু হালাল, সে তাতে বিসমিল্লাহ্ বলুক বা না বলুক। এর বর্ণনাকারী রাবীগণ মাজবূত (নির্ভরযোগ্য)। [১৪৫৩]
[১৪৫৩] ইবনুল কাত্তান তাঁর আল ওয়াহম ওয়াল ঈহাম ৩/৫৭৯ গ্রন্থে বলেন, হাদীসটির দোষ হচ্ছে মুরসাল, কারণ স্বলত আস সাদূসীর অবস্থা জানা যায় না। ইবনু উসাইমীন শরহে বুলুগুল মারাম ৬/৬৭ গ্রন্থে এ হাদীসটিকে অত্যন্ত দুর্বল বলেছেন। ইবনু কাসীর তাঁর তাফসীরুল কুরআন ৩/৩১৮ গ্রন্থে ও বাইহাকী সুনান আস সুগরা ৪/৪৩ গ্রন্থে, ইমাম নববী তাঁর মাজমু‘ ৮/৪১২ গ্রন্থে, ইমাম যঈলয়ী নাসবুর রায়া একে মুরসাল বলেছেন। ইমাম সনআনী, নাববী, শওকানী, আল আইনী, ইবনুল মুলকিন সহ অনেকেই এ হাদীসটিকে মুরসাল বলেছেন। ইবনু হাজার আসকালানী আত্-তালখীসুল হাবীর ৪/১৪৩৮ গ্রন্থে এর সনদকে দুর্বল বলেছেন। আলবানী যঈফুল জামেতে ৩০৩৯ এ যঈফ বলেছেন। তবে ইবনু হাজার আসকালানী ফাতহুল বারী ৯/৫৫২ গ্রন্থে একে ‘মুরসাল জাইয়েদ’ ভালো মুরসাল বলেছেন।