৪৯১.
অনুচ্ছেদঃ নিজের বোনের নিকটও প্রবেশানুমতি চাইবে।
আদাবুল মুফরাদ : ১০৭৩
আদাবুল মুফরাদহাদিস নম্বর ১০৭৩
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرٌو، وَابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ: أَسْتَأْذِنُ عَلَى أُخْتِي؟ فَقَالَ: نَعَمْ، فَأَعَدْتُ فَقُلْتُ: أُخْتَانِ فِي حِجْرِي، وَأَنَا أُمَوِّنُهُمَا وَأُنْفِقُ عَلَيْهِمَا، أَسْتَأْذِنُ عَلَيْهِمَا؟ قَالَ: نَعَمْ، أَتُحِبُّ أَنْ تَرَاهُمَا عُرْيَانَتَيْنِ؟ ثُمَّ قَرَأَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِيَسْتَأْذِنْكُمُ الَّذِينَ مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ} [النور: 58] إِلَى {ثَلَاثُ عَوْرَاتٍ لَكُمْ} [النور: 58] ، قَالَ: فَلَمْ يُؤْمَرْ هَؤُلَاءِ بِالْإِذْنِ إِلَّا فِي هَذِهِ الْعَوْرَاتِ الثَّلَاثِ، قَالَ: {وَإِذَا بَلَغَ الْأَطْفَالُ مِنْكُمُ الْحُلُمَ} [النور: 59] ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَالْإِذْنُ وَاجِبٌ. زَادَ ابْنُ جُرَيْجٍ: عَلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ
আতা (র) হতে বর্ণিতঃ
আমি ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করে বললাম, আমি কি আমার বোনের নিকটও প্রবেশানুতি প্রার্থনা করবো? তিনি বলেন, হাঁ। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করে বললাম, আমার প্রতিপালনাধীনে আমার দু’টি বোন আছে, আমিই তাদের পৃষ্ঠপোষক (নিরাপত্তা দানকারী) এবং আমিই তাদের ভরণপোষণ করি, আমি কি তাদের নিকটও প্রবেশানুমতি চাইবো? তিনি বলেন, হাঁ। তুমি কি তাদেরকে উলঙ্গ দেখতে পছন্দ করবে? অতঃপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত পড়েন (অনুবাদ) : “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মালিকনাধীন দাস-দাসী এবং তোমাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানেরা তিনটি সময়ে যেন তোমাদের নিকট প্রবেশানুমতি প্রার্থনা করেঃ ফজরের নামাযের পূর্বে, দুপুরের সময় যখন তোমরা পোশাক খুলে রেখে দাও এবং এশার নামাযের পর। তোমাদের তিনটি পর্দা করার সময়” (সূরা নূর : ৫৮)। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, পর্দার এই তিন সময়ই তাদেরকে অনুমতি প্রার্থনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, “তোমাদের শিশুরা প্রাপ্তবয়সে পৌছলে অবশ্যই (সব সময়) অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করবে, যেমন তাদের প্রবীণরা অনুমতি নিয়ে আসে” (সূরা নূর : ৫৯)। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, অতএব অনুমতি প্রার্থনা করা বাধ্যতামূলক। ইবনে জুরাইজের বর্ণনায় আরো আছে, সকল লোকের জন্য। (তাফসীর ইবনে কাসীর)