আত্মীয়তার বন্ধন
২৫.
অনুচ্ছেদঃ আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখা বাধ্যতামূলক।
আদাবুল মুফরাদ : ৪৭
আদাবুল মুফরাদহাদিস নম্বর ৪৭
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: حَدَّثَنَا ضَمْضَمُ بْنُ عَمْرٍو الْحَنَفِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا كُلَيْبُ بْنُ مَنْفَعَةَ قَالَ: قَالَ جَدِّي: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَنْ أَبَرُّ؟ قَالَ: «أُمَّكَ وَأَبَاكَ، وَأُخْتَكَ وَأَخَاكَ، وَمَوْلَاكَ الَّذِي يَلِي ذَاكَ، حَقٌّ وَاجِبٌ، وَرَحِمٌ مَوْصُولَةٌ»
কুলাইব ইবনে মানফায়া (র) হতে বর্ণিতঃ
আমার দাদা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সদাচরণ প্রাপ্তির ব্যাপারে কে অগ্রগণ্য? তিনি বলেনঃ তোমার পিতা-মাতা, তোমার ভাইবোন এবং এতদসংশ্লিষ্ট তোমার গোলাম, এদের অধিকার পূর্ণ করা ওয়াজিব এবং আত্মীয়-সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখবে (মুসলিম, দারেমী, তিরমিযী)।
আদাবুল মুফরাদ : ৪৮
আদাবুল মুফরাদহাদিস নম্বর ৪৮
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ} [الشعراء: 214] قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَادَى: «يَا بَنِي كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ، أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ. يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ، أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ. يَا بَنِي هَاشِمٍ، أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ. يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ. يَا فَاطِمَةُ بِنْتَ مُحَمَّدٍ، أَنْقِذِي نَفْسَكِ مِنَ النَّارِ، فَإِنِّي لَا أَمْلِكُ لَكِ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا، غَيْرَ أَنَّ لَكُمْ رَحِمًا سَأَبُلُّهُمَا بِبِلَالِهَا»
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
যখন এই আয়াত নাযিল হলোঃ “তোমার নিকটতম আত্মীয়দের সতর্ক করো”(২৬ : ২১৪), তখন নবী (সাঃ) দাঁড়ালেন এবং ডেকে বলেনঃ হে বনু কাব ইবনে লুয়াই! নিজেদেরকে আগুন (দোযখ) থেকে রক্ষা করো। হে বনু আবদে মানাফ! নিজেদেরকে আগুন থেকে রক্ষা করো। হে হাশেম বংশীয়গণ! নিজেদেরকে আগুন থেকে রক্ষা করো। হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধরগণ! নিজেদেরকে আগুন থেকে রক্ষা করো। হে মুহাম্মদ কন্যা ফাতেমা! নিজেদেরকে আগুন থেকে রক্ষা করো। অন্যথায় তোমাকে আল্লাহর বিচার থেকে রক্ষা করার সামর্থ্য আমার নাই। কেবল আমার সাথে তোমাদের রক্তের বন্ধন, তা আমি সজীব রাখবো (বুখারী, মুনাসাঈ, তিরমিযী, দারেমী, হিব্বান)।