৪৯. অনুচ্ছেদঃ
আশূরার দিন রোযা পালন না করার সুযোগ
জামে' আত-তিরমিজি : ৭৫৩
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ৭৫৩
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ عَاشُورَاءُ يَوْمًا تَصُومُهُ قُرَيْشٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُهُ فَلَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ صَامَهُ وَأَمَرَ النَّاسَ بِصِيَامِهِ فَلَمَّا افْتُرِضَ رَمَضَانُ كَانَ رَمَضَانُ هُوَ الْفَرِيضَةَ وَتَرَكَ عَاشُورَاءَ فَمَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ تَرَكَهُ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَقَيْسِ بْنِ سَعْدٍ وَجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَمُعَاوِيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَالْعَمَلُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى حَدِيثِ عَائِشَةَ وَهُوَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ لاَ يَرَوْنَ صِيَامَ يَوْمِ عَاشُورَاءَ وَاجِبًا إِلاَّ مَنْ رَغِبَ فِي صِيَامِهِ لِمَا ذُكِرَ فِيهِ مِنَ الْفَضْلِ .
আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কুরাইশরা জাহিলী যুগে এমন একটি দিনে রোযা রাখত যে দিনটি ছিল আশূরা। সেদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও রোযা পালন করতেন। তিনি মাদীনায় আসার পরও ঐ রোযা পালন করেছেন এবং রোযা পালনের জন্য লোকদেরকেও আদেশ করেছেন। রমযান মাসের রোযা ফরয হওয়ার পর এটাই ফরয হিসাবে রয়ে গেল এবং তিনি আশূরার রোযা ছেড়ে দিলেন। ফলে এই দিনে যে লোক ইচ্ছা করে সে রোযা পালন করতে পারে আর যে ইচ্ছা না করে সে তা ছেড়েও দিতে পারে। -সহীহ, সহীহ্ আবূ দাঊদ (২১১০), বুখারী, মুসলিম
ইবনু মাসঊদ, কাইস ইবনু সা’দ, জাবির ইবনু সামুরা, ইবনু উমার ও মুআবিয়া (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করার মত ব্যক্ত করেছেন। এই হাদীস সহীহ্। আশূরার রোযাকে তারা ওয়াজিব মনে করেন না। কিন্তু কোন ব্যক্তির এই দিনে রোযা রাখার আগ্রহ হলে সে তা রাখতে পারে। কারণ, বিভিন্ন হাদীসে এই দিনের রোযা প্রসঙ্গে অনেক ফাযীলাতের কথা উল্লেখ আছে।