৩১. অনুচ্ছেদঃ
রোযা থাকাবস্থায় (স্ত্রীকে) চুমু দেয়া
জামে' আত-তিরমিজি : ৭২৭
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ৭২৭
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُقَبِّلُ فِي شَهْرِ الصَّوْمِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَحَفْصَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ فَرَخَّصَ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْقُبْلَةِ لِلشَّيْخِ وَلَمْ يُرَخِّصُوا لِلشَّابِّ مَخَافَةَ أَنْ لاَ يَسْلَمَ لَهُ صَوْمُهُ وَالْمُبَاشَرَةُ عِنْدَهُمْ أَشَدُّ . وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْقُبْلَةُ تَنْقُصُ الأَجْرَ وَلاَ تُفْطِرُ الصَّائِمَ . وَرَأَوْا أَنَّ لِلصَّائِمِ إِذَا مَلَكَ نَفْسَهُ أَنْ يُقَبِّلَ وَإِذَا لَمْ يَأْمَنْ عَلَى نَفْسِهِ تَرَكَ الْقُبْلَةَ لِيَسْلَمَ لَهُ صَوْمُهُ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ .
আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রমযান মাসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (রোযা থাকাবস্থায় স্ত্রীকে) চুমু দিতেন। -সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৬৮৩), মুসলিম, বুখারী অনুরূপ
উমার ইবনুল খাত্তাব, হাফ্সা, আবূ সাঈদ, উম্মু সালামা, ইবনু আব্বাস, আনাস ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। রোযা থাকাবস্থায় চুমু দেয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অন্যান্য আলিমদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী চুমু দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন, কিন্তু যুবকদেরকে রোযা ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে এই অনুমতি দেননি। আর তাদের মতে স্ত্রীকে আলিঙ্গন করার বিষয়টি আর বেশি মারাত্মক। আর কোন আলিম বলেন, চুম্বনে রোযার সাওয়াব কমে, কিন্তু তাতে রোযা নষ্ট হয় না। তাদের মতে, রোযা পালনকারী নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সে চুম্বন করতে পারে। আর যদি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তার আস্থা না থাকে তাহলে সে চুম্বন করবে না, যাতে করে রোযার হিফাযাত করা তার পক্ষে সম্ভব হয়। এরকম মতই সুফিয়ান সাওরী ও শাফিঈর।