২৮. অনুচ্ছেদঃ
রমযানের রোযা ভঙ্গের কাফ্ফারা
জামে' আত-তিরমিজি : ৭২৪
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ৭২৪
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَأَبُو عَمَّارٍ وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ وَاللَّفْظُ لَفْظُ أَبِي عَمَّارٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكْتُ . قَالَ " وَمَا أَهْلَكَكَ " . قَالَ وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ . قَالَ " هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُعْتِقَ رَقَبَةً " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُطْعِمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا " . قَالَ لاَ . قَالَ " اجْلِسْ " . فَجَلَسَ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ - وَالْعَرَقُ الْمِكْتَلُ الضَّخْمُ قَالَ " تَصَدَّقْ بِهِ " . فَقَالَ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا أَحَدٌ أَفْقَرَ مِنَّا . قَالَ فَضَحِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ . قَالَ " فَخُذْهُ فَأَطْعِمْهُ أَهْلَكَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي مَنْ أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ مُتَعَمِّدًا مِنْ جِمَاعٍ وَأَمَّا مَنْ أَفْطَرَ مُتَعَمِّدًا مِنْ أَكْلٍ أَوْ شُرْبٍ فَإِنَّ أَهْلَ الْعِلْمِ قَدِ اخْتَلَفُوا فِي ذَلِكَ فَقَالَ بَعْضُهُمْ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ وَالْكَفَّارَةُ . وَشَبَّهُوا الأَكْلَ وَالشُّرْبَ بِالْجِمَاعِ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ وَلاَ كَفَّارَةَ عَلَيْهِ لأَنَّهُ إِنَّمَا ذُكِرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْكَفَّارَةُ فِي الْجِمَاعِ وَلَمْ تُذْكَرْ عَنْهُ فِي الأَكْلِ وَالشُّرْبِ . وَقَالُوا لاَ يُشْبِهُ الأَكْلُ وَالشُّرْبُ الْجِمَاعَ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ وَقَوْلُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِلرَّجُلِ الَّذِي أَفْطَرَ فَتَصَدَّقَ عَلَيْهِ " خُذْهُ فَأَطْعِمْهُ أَهْلَكَ " . يَحْتَمِلُ هَذَا مَعَانِيَ يَحْتَمِلُ أَنْ تَكُونَ الْكَفَّارَةُ عَلَى مَنْ قَدَرَ عَلَيْهَا وَهَذَا رَجُلٌ لَمْ يَقْدِرْ عَلَى الْكَفَّارَةِ فَلَمَّا أَعْطَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا وَمَلَكَهُ فَقَالَ الرَّجُلُ مَا أَحَدٌ أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنَّا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " خُذْهُ فَأَطْعِمْهُ أَهْلَكَ " . لأَنَّ الْكَفَّارَةَ إِنَّمَا تَكُونُ بَعْدَ الْفَضْلِ عَنْ قُوتِهِ . وَاخْتَارَ الشَّافِعِيُّ لِمَنْ كَانَ عَلَى مِثْلِ هَذَا الْحَالِ أَنْ يَأْكُلَهُ وَتَكُونَ الْكَفَّارَةُ عَلَيْهِ دَيْنًا فَمَتَى مَا مَلَكَ يَوْمًا مَا كَفَّرَ .সমস্যা? রিপোর্ট করুন!
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক লোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমিতো ধংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ কিসে তোমাকে ধ্বংস করল? সে বলল, আমি রোযা থাকাবস্থায় স্ত্রীসংগম করেছি। তিনি বললেন, তুমি কি একটি গোলাম মুক্ত করতে পারবে? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তুমি কি একসাথে দু’মাস রোযা রাখতে পারবে? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তুমি কি ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াতে পারবে? সে বলল, না। তিনি তাকে বললেনঃ তুমি বস। লোকটি বসে রয়ল। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এক (বড়) ঝুড়িভর্তি খেজুর আসলো। তিনি তাকে বললেনঃ এগুলো নিয়ে দান-খায়রাত করে দাও। সে বলল, আমার চেয়ে দরিদ্র মাদীনার পাথরময় দুপ্রান্তের মাঝে আর কেউ নেই। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, (তার কথায়) তিনি হেসে দিলেন, এমনকি তাঁর চোয়ালের দাঁত দেখা গেলো। তিনি বললেনঃ এগুলো নাও এবং তোমার পরিবারবর্গকে খাওয়াও। -সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৬৭১), বুখারী, মুসলিম
ইবনু উমার, আইশা ও আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান সহীহ্ বলেছেন। আলিমগণ এ হাদীসের ভিত্তিতে বলেন, রমযান মাসে কোন লোক স্বেচ্ছায় স্ত্রীসংগম দ্বারা রোযা ভেঙ্গে ফেললে প্রত্যেকটি রোযার জন্য তাকে একটি করে দাস মুক্ত করতে হবে অথবা দু’মাস একটানা রোযা পালন করতে হবে অথবা ষাটজন গরীব লোককে খাওয়াতে হবে। কিন্তু পানাহারের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় কোন লোক রোযা ভেঙ্গে ফেললে তার কাফ্ফারা প্রসঙ্গে আলিমগণের মধ্যে মতবিরোধ আছে। একদল আলিম বলেন, তাকে রোযার কাযা ও কাফ্ফারা দুটোই আদায় করতে হবে। পানাহারকে তাঁরা স্ত্রীসংগমের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে মনে করেন। এরকমই অভিমত সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক ও ইসহাকের। অন্য একদল আলিম বলেন, তাকে কাযা রোযা আদায় করতে হবে কিন্তু কাফ্ফারা আদায় করতে হবে না। কারণ, স্ত্রীসংগমের ক্ষেত্রেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে কাফ্ফারার উল্লেখ আছে, পানাহারের ক্ষেত্রে এর কোন উল্লেখ নেই। তারা বলেন, স্ত্রীসংগমের সাথে পানাহারের সাদৃশ্য নেই। এরকম অভিমত ইমাম শাফিঈ ও আহ্মাদ (রহঃ)-এর। ইমাম শাফিঈ বলেন, যে লোক রোযা ভেঙ্গে ফেলেছিলো সে লোককে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত খেজুর দান করেছিলেন। তাঁর উক্তি “নাও, তোমার পরিবারবর্গকে তা খাওয়াও” বাক্যাংশ বিভিন্ন অর্থ বহন করে। এমনও হতে পারে যে, যে ব্যক্তির সামর্থ আছে তাকে কাফ্ফারা আদায় করতে হয়। কিন্তু এ লোকটি কাফ্ফারা আদায় করার মত সামর্থবান ছিল না। পরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে কিছু দান করে তার মালিক বানিয়ে দিলে সে বলল, আমাদের চেয়ে বেশি অভাবগ্রস্ত এ এলাকায় অন্য কোন লোক নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “নিয়ে নাও এবং তোমার পরিবারবর্গকে খাওয়াও”। কেননা, কাফ্ফারা বাধ্যতামুলক হয় জীবনধারণের কোন অতিরিক্ত সম্পদ থাকলেই। এরকম অবস্থাসম্পন্ন লোক সম্বন্ধে ইমাম শাফিঈর অভিমত হচ্ছে, সে লোক ঐ মাল ভোগ করতে পারে। আর কাফ্ফারা তার দায়িত্বে ঋণ হিসাবে থেকে যাবে। সে যে সময়ে তা দিতে সমর্থ হবে সে সময়েই কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।