২১. অনুচ্ছেদঃ
গর্ভবতী নারী ও দুগ্ধদানকারিণী মায়ের জন্য রোযা ভঙ্গের অনুমতি আছে
জামে' আত-তিরমিজি : ৭১৫
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ৭১৫
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَيُوسُفُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبُو هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَوَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ قَالَ أَغَارَتْ عَلَيْنَا خَيْلُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدْتُهُ يَتَغَدَّى فَقَالَ " ادْنُ فَكُلْ " . فَقُلْتُ إِنِّي صَائِمٌ . فَقَالَ " ادْنُ أُحَدِّثْكَ عَنِ الصَّوْمِ أَوِ الصِّيَامِ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى وَضَعَ عَنِ الْمُسَافِرِ الصَّوْمَ وَشَطْرَ الصَّلاَةِ وَعَنِ الْحَامِلِ أَوِ الْمُرْضِعِ الصَّوْمَ أَوِ الصِّيَامَ " . وَاللَّهِ لَقَدْ قَالَهُمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم كِلْتَيْهِمَا أَوْ إِحْدَاهُمَا فَيَا لَهْفَ نَفْسِي أَنْ لاَ أَكُونَ طَعِمْتُ مِنْ طَعَامِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أُمَيَّةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ الْكَعْبِيِّ حَدِيثٌ حَسَنٌ وَلاَ نَعْرِفُ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ هَذَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ الْوَاحِدِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ الْحَامِلُ وَالْمُرْضِعُ تُفْطِرَانِ وَتَقْضِيَانِ وَتُطْعِمَانِ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ وَمَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ تُفْطِرَانِ وَتُطْعِمَانِ وَلاَ قَضَاءَ عَلَيْهِمَا وَإِنْ شَاءَتَا قَضَتَا وَلاَ إِطْعَامَ عَلَيْهِمَا . وَبِهِ يَقُولُ إِسْحَاقُ .
আবদুল্লাহ ইবনু কা’ব গোত্রের আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের উপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অশ্বারোহী বাহিনী হঠাৎ আক্রমণ করল। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এলাম। আমি তাঁকে সকালের খাবার খাওয়ারত অবস্থায় পেলাম। তিনি বললেনঃ কাছে আস এবং খাও। আমি বললাম, আমি রোযা আছি। তিনি বললেনঃ সামনে আস, আমি তোমাকে রোযা প্রসঙ্গে কথা বলব। আল্লাহ তা’আলা মুসাফির লোকের রোযা ও অর্ধেক নামায কমিয়ে দিয়েছেন আর গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিণী মহিলাদের রোযা মাফ করে দিয়েছেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্র শপথ! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুজনের কিংবা একজনের কথা বলেছেন। আমার আফসোস এই যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে আমি খাবার খাইনি। -হাসান সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৬৬৭)
আবূ উমাইয়্যা (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা আনাস ইবনু মালিক আল-কা’বী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হতে এই একটি মাত্র হাদীস ছাড়া তার (আনাস) সূত্রে বর্ণিত অন্য কোন হাদীস আছে বলে আমাদের জানা নেই। এই হাদীস অনুযায়ী একদল আলিম আমল করেছেন। অন্য একদল আলিম বলেন, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিণী মহিলাগণ রোযা ভেঙ্গে ফেলবে, পরে এর কাযা আদায় করবে এবং (মিসকীনদের) খাওয়াবে। এরকম অভিমতই প্রকাশ করেছেন সুফিয়ান, মালিক, শাফিঈ ও আহ্মাদ (রহঃ)। অন্য আরেকদল আলিম বলেন এরা রোযা আদায় করবে না এবং মিসকীনদের খাবার খাওয়াবে। কাযা রোযা পালন করাটা তাদের উপর জরুরী নয়, ইচ্ছা করলে কাযা আদায় করবে, তাহলে মিসকীন খাওয়াতে হবে না। এরকম অভিমত ইসহাকেরও।