অনুচ্ছেদ-৩২
(রাতের নামাযের বিশেষ দু’আ)
জামে' আত-তিরমিজি : ৩৪২১
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ৩৪২১
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ قَالَ " وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا إِنَّهُ لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ آمَنْتُ بِكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . فَإِذَا رَكَعَ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي " . فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ قَالَ " اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرَضِينَ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ " . فَإِذَا سَجَدَ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ فَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ " . ثُمَّ يَكُونُ آخِرَ مَا يَقُولُ بَيْنَ التَّشَهُّدِ وَالسَّلاَمِ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামাযে দাঁড়াতেন, তখন বলতেনঃ “একনিষ্ঠভাবে আমি আমার চেহারা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম যিনি আকাশমন্ডলী ও দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই”- (সূরা আন’আম ৭৯)। “আমার নামায, আমার ইবাদাত (কুরবানী ও হাজ্জ), আমার প্রান ও আমার মৃত্যু জগতসমূহের পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার জন্যই। তাঁর কোন শরীক নেই এবং এ (ঘোষণা দেয়ার) জন্যই আমি আদিষ্ট হয়েছি। আমি মুসলমানদের দলভুক্ত”-(সূরা আন’আম ১৬২-৬৩)। হে আল্লাহ! তুমি রাজার রাজা, তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই, তুমিই আমার প্রতিপালক এবং আমি তোমার দাস। আমার নিজের উপর আমি অত্যাচার করেছি, আমার অপরাধ আমি স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমার সকল অপরাধ ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি ছাড়া অপরাধ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই। তুমি আমাকে ভালো চরিত্রের পথনির্দেশ কর। তুমি ব্যতীত অন্য কেউ সবচেয়ে ভাল চরিত্রের দিকে পথনির্দেশ করতে পারেনা। তুমি আমার হতে মন্দ চরিত্র দূর করে দাও। তুমি ছাড়া অন্য কেউ আমার হতে তা দূর করতে পারে না। তোমার উপর আমি ঈমান এনেছি। তুমি কল্যাণময়, সুমহান। তোমার কাছে আমি মাফ চাই এবং তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি”। তারপর যখন রুকূ‘ দিতেন তখন বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার জন্য আমি রুকূ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম এবং তোমার খুশির জন্যই আত্মসমর্পণ করলাম। আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিষ্ক, আমার হাঁড় এবং আমার স্নায়ু তোমার জন্যই ঝুঁকে পড়েছে”। তিনি রুকূ‘ হতে মাথা তুলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ, আমার প্রভু! আকাশ্মন্ডলী ও সম্পূর্ণ জগৎসমুহ এবং উভয়ের মাঝে যা কিছু আছে , সমস্ত কিছু পরিপূর্ণ পরিমাণ তোমার প্রশংসা এবং তুমি যা আকাঙ্ক্ষা কর সেটাও পরিপূর্ণ পরিমাণ তোমার প্রশংসা”। তিনি সাজদাহতে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্যই সাজদাহ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার জন্যই ইসলাম ক্ববূল করলাম। আমার মুখমন্ডল তাঁর জন্য সাজদাহ্ করল। যিনি আমার চেহারা সৃষ্টি করেছেন, তারপর তাকে সুন্দর মুখমন্ডল দান করেছেন এবং তা ভেদ করে কান ও চোখ ফুটিয়েছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ তা‘আলা কত মহান”। তারপর তাশাহহূদ ও সালামের মাঝখানের সময়ে তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ ! আমি পূর্বে ও পরে , লুকায়িত ও প্রকাশ্য এবং আমার প্রসঙ্গে তোমার জানা মতে যা কিছু আমি করেছি, তুমি তা ক্ষমা করে দাও। তুমিই শুরু এবং তুমিই শেষ। তুমি ব্যতীত আর কোন মা‘বূদ নেই”।সহীহঃ সিফাতুস সালাত, সহীহ আবূ দাঊদ (হাঃ ৭৩৮), মুসলিম।