২. অনুচ্ছেদঃ
আদম (আঃ) ও মূসা (আঃ)-এর পারস্পরিক বিতর্ক
জামে' আত-তিরমিজি : ২১৩৪
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ২১৩৪
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ مُوسَى يَا آدَمُ أَنْتَ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ أَغْوَيْتَ النَّاسَ وَأَخْرَجْتَهُمْ مِنَ الْجَنَّةِ . قَالَ فَقَالَ آدَمُ وَأَنْتَ مُوسَى الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلاَمِهِ أَتَلُومُنِي عَلَى عَمَلٍ عَمِلْتُهُ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ قَالَ فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَجُنْدَبٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنِ الأَعْمَشِ . وَقَدْ رَوَى بَعْضُ أَصْحَابِ الأَعْمَشِ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (রূহ্ জগতে) আদম (আঃ) ও মূসা (আঃ) পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হন। মূসা (আঃ) আদম (আঃ)-কে বলেনঃ আপনি তো সেই আদম, যাঁকে আল্লাহ তা‘আলা নিজ হাতে বানিয়েছেন এবং আপনার মধ্যে তাঁর রূহ্ সঞ্চার করেছেন। আর আপনিই মানবজাতির বিপথগামী ও তাদেরকে জান্নাত হতে বহিষ্কারের কারণ হলেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তারপর আদম (আঃ) বললেনঃ আপনিই তো মূসা, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সাথে কথা বলার জন্য আপনাকে মনোনীত করেছেন। আপনি এরূপ একটি কাজের জন্য আমাকে অভিযুক্ত করছেন, যা করার সিদ্ধান্তকে আল্লাহ তা‘আলা আসমান-যামীন সৃষ্টির পূর্বেই আমার জন্য লিখে রেখেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তারপর সেই বিতর্কে আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর উপর বিজয়ী হন।সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (৮০), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, উমার ও জুনদাব (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্ এবং সুলাইমান আত-তাইমী-আমাশের সূত্রে গারীব। আর আমাশের কিছু শিষ্য-আমাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এই সূত্রে একইরকম হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর কিছু বর্ণনাকারী আমাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।