৩৭. অনুচ্ছেদঃ
রাত থাকতে (ফযরের) আযান দেওয়া সম্পর্কে
জামে' আত-তিরমিজি : ২০৩
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ২০৩
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ بِلاَلاً يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى تَسْمَعُوا تَأْذِينَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَعَائِشَةَ وَأُنَيْسَةَ وَأَنَسٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَسَمُرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الأَذَانِ بِاللَّيْلِ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ بِاللَّيْلِ أَجْزَأَهُ وَلاَ يُعِيدُ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا أَذَّنَ بِلَيْلٍ أَعَادَ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ . وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ بِلاَلاً أَذَّنَ بِلَيْلٍ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُنَادِيَ " إِنَّ الْعَبْدَ نَامَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَيْرُ مَحْفُوظٍ . قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ حَدِيثُ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هُوَ غَيْرُ مَحْفُوظٍ وَأَخْطَأَ فِيهِ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ .
সালিম (রহঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্রে হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বিলাল রাত থাকতে আযান দেয়। অতএব তোমরা ইবনু উম্মু মাকতূমের আযান না শুনা পর্যন্ত পানাহার কর।সহীহ্। ইরওয়া-(২১৯), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসঊদ, আইশা, উনাইসা, আনাস, আবূ যার ও সামুরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর বর্ণনাকৃত হাদীসটি হাসান সহীহ।রাত থাকতে আযান দেওয়ার ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। তাদের কেউ কেউ বলেছেন, মুয়াযযিন রাতে সুবহি সাদিকের আগে আযান দিলে তা জায়িয এবং এটা পুনর্বার দেওয়ার দরকার নেই। ইমাম মালিক, শাফিঈ, ইবনুল মুবারাক, আহমাদ ও ইসহাকের এটাই মত।অন্য দল বলেছেন, রাত থাকতে আযান দিলে পুনরায় আযান দিতে হবে। সুফিয়ান সাওরী এই মত প্রকাশ করেছেন। হাম্মাদ আইউবের সূত্রে, তিনি নাফির সূত্রে, তিনি ইবনু উমারের নিকট হতে বর্ণনা করেছেনঃ “একদা বিলাল (রাঃ) রাত থাকতে আযান দিলেন। রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে আবার আযান দেয়ার নির্দেশ দিলেন। (তিনি বললেন) লোকেরা ঘুমিয়ে পড়েছে ।”আবূ ‘ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি সুরক্ষিত নয়। উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘‘উমার (রাঃ) ও অন্যরা নাফির মাধ্যমে ইবনু ‘‘উমার (রাঃ)-এর নিকট হতে রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন সেটাই সহীহ। বর্ণনাটি নিম্নরূপঃ রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “বিলাল রাত থাকতে আযান দেয়। অতএব তোমরা (আবদুল্লাহ) ইবনু উম্মি মাকতূমের আযান না শুনা পর্যন্ত পানাহার করতে থাক ।”আবদুল আযীয ইবনু আবূ রাওয়াদ নাফি’র সূত্রে বর্ণনা করেছেনঃ “‘উমার (রাঃ)-এর মুয়াযযিন রাত থাকতেই আযান দিলেন। ‘‘উমার (রাঃ) তাকে আবার আযান দেওয়ার নির্দেশ দিলেন ।”এই বর্ণনাটিও সহীহ নয় কেননা নাফি’ এবং উমারের মাঝখানের একজন রাবী ছুটে গেছে। সম্ভবতঃ হাম্মাদ ইবনু সালামা এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু উমারের বর্ণনাটিই সহীহ। একাধিক রাবী নাফির সূত্রে ইবনু উমারের এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। যুহরী সালিমের সূত্রে, তিনি ইবনু ‘‘উমার (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “বিলাল রাত থাকতে আযান দেয় ।”আবূ ‘ঈসা বলেনঃ হাম্মাদ হতে বর্ণিত হাদীসটি যদি সহীহ হয় তাহলে এই হাদীসের কোন অর্থ হয় না যে, রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “বিলাল রাত থাকতে আযান দেয় ।” বিলাল (রাঃ) যখনি ফযর উদয় হওয়ার পূর্বে আযান দিলেন এবং রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যদি তাঁকে আবার আযান দেয়ার নির্দেশ দিতেন তাহলে তিনি কখনো এ কথা বলতেন না যে, “বিলাল রাত থাকতে আযান দেয় ।” আলী ইবনুল মাদানী বলেন, হাম্মাদ ইবনু সালামা হতে, তিনি আইউব হতে, তিনি নাফি’ হতে, তিনি ইবনু ‘উমার হতে, তিনি রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে- বর্ণনাকৃত হাদীসটি সুরক্ষিত নয়। হাম্মাদ ইবনু সালামা তা বর্ণনা করতে গিয়ে গোলমাল করেছেন।