১৪. অনুচ্ছেদঃ
একটি গোলামের দুইজন অংশীদারের মধ্যে একজন তার নিজের অংশ মুক্ত করে দিলে
জামে' আত-তিরমিজি : ১৩৪৮
জামে' আত-তিরমিজিহাদিস নম্বর ১৩৪৮
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَعْتَقَ نَصِيبًا - أَوْ قَالَ شِقْصًا فِي مَمْلُوكٍ فَخَلاَصُهُ فِي مَالِهِ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ قُوِّمَ قِيمَةَ عَدْلٍ ثُمَّ يُسْتَسْعَى فِي نَصِيبِ الَّذِي لَمْ يُعْتِقْ غَيْرَ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو .حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، نَحْوَهُ وَقَالَ " شَقِيصًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهَكَذَا رَوَى أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ قَتَادَةَ، مِثْلَ رِوَايَةِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ . وَرَوَى شُعْبَةُ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ قَتَادَةَ، وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ أَمْرَ السِّعَايَةِ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي السِّعَايَةِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ السِّعَايَةَ فِي هَذَا . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَقُولُ إِسْحَاقُ . وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا كَانَ الْعَبْدُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَأَعْتَقَ أَحَدُهُمَا نَصِيبَهُ فَإِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ غَرِمَ نَصِيبَ صَاحِبِهِ وَعَتَقَ الْعَبْدَ مِنْ مَالِهِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ عَتَقَ مِنَ الْعَبْدِ مَا عَتَقَ وَلاَ يُسْتَسْعَى . وَقَالُوا بِمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَهَذَا قَوْلُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন শরীকানা গোলামের ক্ষেত্রে কোন লোক তার নিজের অংশকে মুক্ত করলে তাকে তার বাকি অংশটুকুও মুক্ত করে দিতে হবে- তার যদি সেরকম আর্থিক সামর্থ থাকে। তার আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে তবে ইনসাফের ভিত্তিতে তার ন্যায্য মূল্য ঠিক করতে হবে। তারপর সে যতটুকু পরিমাণে মুক্ত হতে পারেনি সেটুকু পরিমাণ মূল্য (কায়িক শ্রমের মাধ্যমে) পরিশোধের চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু তাকে দিয়ে সামর্থ্যের বেশি কষ্টদায়ক কাজ করানো যাবে না।সহীহ্, প্রাগুক্ত ইবনু মা-জাহ- (২৫২৭), নাসা-ঈ
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। সাঈদ ইবনু আবূ আরুবা হতেও এরকম বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। আবান ইবনু ইযায়ীদ কাতাদা হতে সাঈদ ইবনু আরুবার বর্ণনার মতই বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটিকে শুবা কাতাদার সূত্রে বর্ণনা করেছেন কিন্তু এতে পরিশ্রম করানোর কথা উল্লেখ নেই।আলিমদের মধ্যে এ ধরণের গোলাম দিয়ে পরিশ্রম করানোর ব্যাপারে মতপার্থক্য আছে। একদল আলিমের মতে, মুক্ত করার উদ্দেশ্যে তাকে দিয়ে পরিশ্রম করানো বৈধ। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসী আলিমগণ। ইসহাকও এই মতের সমর্থক। অপর একটি দল বলেছেন, একজন ক্রীতদাসের যদি দুজন মালিক থাকে এবং একজন মালিক তার প্রাপ্য অংশকে মুক্ত করে দিলে তার (মুক্তকারীর) যদি আর্থিক সামর্থ্য থাকে, তবে সে অন্য মালিককে ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে এবং নিজের মালের পরিবর্তে তাকে মুক্ত করবে। তার যদি এরকম আর্থিক সামর্থ্য না থাকে তবে উক্ত গোলামের যেটুকু পরিমাণ মুক্ত করা হয়েছে সেটুকু পরিমাণ মুক্ত বলে গণ্য হবে। কিন্তু তাকে কাজে খাটিয়ে তার মজুরি অন্য মালিককে দেওয়ার মাধ্যমে তাকে মুক্ত করার এ পদ্ধতিটি সঠিক নয়। আলিমগণের এই দল ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীসের সমর্থক। মাদীনার আলিমদেরও এই অভিমত। ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহ্মাদ ও ইসহাক (রহঃ) এই মতের সমর্থক।