১৭. অধ্যায়ঃ

মৃত ব্যক্তির কাছে জান্নাত কিংবা জাহান্নামের ঠিকানা উপস্থিত করা হয়, আর কবরের শাস্তি প্রমাণ করা এবং তাত্থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা

সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৭১১৫

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বদর যুদ্ধে নিহত লোকদেরকে তিন দিন পর্যন্ত এভাবেই রেখে দিয়েছিলেন। তারপর তিনি তাদের কাছে এসে তাদের লাশের সামনে দাঁড়ালেন এবং তাদেরকে উচ্চ আওয়াজে বললেন, হে হিশামের পুত্র আবূ জাহল! হে উমায়্যাহ্ ইবনু খালাফ! হে ‘উত্বাহ্ ইবনু রাবী‘আহ্! হে শাইবাহ্ ইবনু রাবী‘আহ্! তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের সঙ্গে যা ওয়া’দা করেছেন তোমরা কি তা বাস্তবে পাওনি? আমার প্রতিপালক আমার সাথে যা ওয়া’দা করেছেন আমি তা বাস্তবে পেয়েছি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এ কথা ‘উমার (রাঃ) শুনে বললেন, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তারা তো মৃত। কিভাবে তারা শুনবে এবং কিভাবে তারা উত্তর দিবে? তিনি বললেন, আমি তাদেরকে যা বলছি এ কথা তাদের থেকে তোমরা বেশি শুনছ না। তবে তারা প্রত্যুত্তর দিতে অক্ষম। অতঃপর তিনি তাদের সম্বন্ধে আদেশ দিলে তাদেরকে হেঁচড়িয়ে নিয়ে বাদ্রের কূপে নিক্ষেপ করা হলো। [৯] (ই.ফা. ৬৯৫৯, ই.সে. ৭০১৭)

[৯] কোন মানুষ মারা যাবার পর দুনিয়াবাসীর কারো কোন কথা শোনার ক্ষমতা রাখে না। কোন জীবিত মানুষও কোন মৃতকে কোন কিছু শোনাতে পারে না। তবে আলোচ্য হাদীসে যে বর্ণনা তা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশেষ মু‘জিযা ছিল সে সময়ের জন্য যা তিনি করেছিলেন। অন্য কোন সময় তিনি এ রকম করেছেন বলে কোন প্রমাণ নেই।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন