১৭. অধ্যায়ঃ
মৃত ব্যক্তির কাছে জান্নাত কিংবা জাহান্নামের ঠিকানা উপস্থিত করা হয়, আর কবরের শাস্তি প্রমাণ করা এবং তাত্থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা
সহিহ মুসলিম : ৭১১৪
সহিহ মুসলিমহাদিস নম্বর ৭১১৪
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর সাথে একদা আমরা মাক্কাহ্ ও মাদীনার মধ্যবর্তী স্থানে ছিলাম। তখন আমরা চাঁদ দেখছিলাম। আমি তীক্ষ্ন দৃষ্টিসম্পন্ন ছিলাম, তাই আমি চাঁদ দেখে ফেললাম। আমি ব্যতীত কেউ বলেনি যে, সে চাঁদ দেখেছে। তিনি বলেন, আমি ‘উমার (রাঃ)-কে বলছিলাম, আপনি কি চাঁদ দেখছেন না? এ-ই তো চাঁদ। কিন্তু তিনি দেখছিলেন না। বর্ণনাকারী বলেন, তখন ‘উমার (রাঃ) বলছিলেন, আমি আমার বিছানায় শুয়ে থেকেই তা দেখতে পাব। অতঃপর তিনি আমাদের নিকট বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কাফিরদের (নিহত হবার) ঘটনার অবস্থা বর্ণনা করতে শুরু করলেন। বললেন, গতকাল বাদ্র যোদ্ধাদের ধরাশায়ী হবার স্থান রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে (পূর্ব থেকেই) দেখাচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় এটা অমুকের ধরাশায়ী হবার স্থান। বর্ণনাকারী বলেন, ‘উমার (রাঃ) বলেছেনঃ শপথ সে সত্তার! যিনি তাঁকে সত্য বাণী সহ পাঠিয়েছেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সীমারেখা বলে দিয়েছেন, তারা সে সীমারেখা একটুও অতিক্রম করেনি। তারপর তাদেরকে একটি কূপে একজনের উপর অপরজনকে নিক্ষেপ করা হলো। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের কাছে গিয়ে বললেন, হে অমুকের ছেলে অমুক, হে অমুকের ছেলে অমুক! আল্লাহ ও তাঁর রসূল যে ওয়া‘দা তোমাদের সঙ্গে করেছেন তোমরা কি তা বাস্তবে পেয়েছ? আমার প্রতিপালক আমার সঙ্গে যে ওয়া‘দা করেছেন আমি তা বাস্তবে সঠিক পেয়েছি।তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! যেসব দেহে প্রাণ নেই, আপনি তাদের সাথে কিভাবে কথা বলছেন? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি যা বলছি, তা তোমরা তাদের চেয়ে অধিক শুনছ না। তবে তারা এ কথার প্রত্যুত্তর দিতে অক্ষম। (ই.ফা. ৬৯৫৮, ই.সে. ৭০১৬)